gtbnews
- ৩ জুলাই, ২০২০ / ২৬৬ বার পঠিত
নয়ন রায় : বর্ষাকে কেন্দ্র করে বগুড়ায় বাণিজ্যিক ভাবে তৈরি করা হচ্ছে মাছ ধরার বিশেষ ফাঁদ চাঁই। সদর সহ বিভিন্ন উপজেলা গুলোয় বাণিজ্যিক ভাবে গড়ে উঠেছে হস্তশিল্প চাঁই। তবে চাঁই তৈরির উপকরণের দাম বাড়ায় নানা কারণে হস্তশিল্পটিকে ধরে রাখতে কষ্টকর হয়ে উঠেছে জড়িত এ পেশার কারিগরদের। ঐতিহ্যবাহী মহাস্থান হাটে দেখা মেলে এমন শিল্পের।
মৌসুমের এসময়ে গ্রামের অনেকেই কর্মহীন হয়ে থাকে। বাড়তি রোজগার ও সংসারের স্বচ্ছলতা আনতে ঘরে বসে না থেকে চাঁই তৈরিতে ব্যস্ত থাকে। কেউ কেউ এ পেশাটি বাড়তি রোজগারের উপায় হিসেবে নিলেও অনেকের আবার জীবিকার প্রধান মাধ্যম। মাছ ধরার এ চাঁই তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় বাঁশ দিয়ে তৈরি এক বিশেষ ফাঁদ। গ্রামীণ জনপদে যাকে ছাই বা বৌচনা বলে ডাকা হয়।
পরিবারে নারী-পুরুষ থেকে শুরু করে শিশুরাও এই কাজে ব্যস্ত। করোনা ভাইরাসের কারণে বেবসা মন্দা হলেও সপ্তাহে হাঁটের দিন গুলোতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পযন্ত শত শত চাঁইয়ের বেচা-কেনা হচ্ছে। প্রতি ১০০চাঁইয়ের দাম ৫থেকে সাড়ে ৫হাজার টাকা। তবে ছোট বড় প্রকারভেদে প্রতিটি চাঁইয়ে খরচ পড়ে ১৫০থেকে ২শত টাকা। আর তা বিক্রি হয় ২শত থেকে ৫শত টাকায়। স্থানীয়রা ছাড়াও আশ-পাশের বিভিন্ন জেলা থেকে মাছ শিকারী ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা এখানে চাঁই কিনতে আসেন। এক চাঁই বিক্রেতা জানান, মৌসুমের এ পেশাকে কুঠির শিল্পে সমৃদ্ধ করতে সরকারি আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন এ পেশায় জড়িত সংশ্লিষ্টরা।