শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩১ অপরাহ্ন

দুমকিতে যারা শিক্ষক,তারাই সাংবাদিক ক্লাস ফাঁকি দিয়ে করছেন চাঁদাবাজী

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দুমকিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষকই সার্বক্ষণিক সাংবাদিকতায় নিয়োজিত হয়েছেন। তাঁরা তাঁদের স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মানুষ গড়ার মহান ব্রত ত্যাগ করে সাংবাদিকতা করছেন। তাঁরা কখনোই শিক্ষক পরিচয় দেন না, পরিচয় দেন ‘সাংবাদিক’। তাঁরা সাংবাদিকতার দোহাই দিয়ে শিক্ষকতার মহান দায়িত্বে চরম ফাঁকি দিচ্ছেন। কিন্তু তাঁরা সরকারি বেতনভাতা নিয়মিতই তুলছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান বা কর্তৃপক্ষ ‘সাংবাদিক’ ভয়ে তাঁদের কিছু বলার সাহস পান না। ক্লাসে পাঠদান না করেই সরকারের কাছ থেকে বেতনভাতা নেওয়াটা কতটা যৌক্তিক? এবিষয়ে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও একজন অভিভাবক পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২২ এর অনুচ্ছেদ ১১.১৭, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর অনুচ্ছেদ ১১.১০(ক) এবং বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ এর অনুচ্ছেদ ১৫.১ মোতাবেক এমপিও ভুক্ত কোন শিক্ষক কর্মচারী একই সঙ্গে একাধিক কোনো পদে/চাকরিতে বা আর্থিক লাভজনক কোনো পদে নিয়োজিত থাকতে পারবে না। অনুসন্ধানে দেখা যায়, উপজেলার সাধারণ মানুষের চেয়ে সাংবাদিক বেশি তারমধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষক। ক্লাস কার্যক্রম ফাঁকি দিয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। সাধারণ মানুষকে সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। আবার কেউ কেউ হচ্ছেন প্রেসক্লাবের সভাপতি, সম্পাদক। উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে তারা শিক্ষকতা পরিচয় আড়াল করে সাংবাদিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন। প্রশাসন সবকিছু জেনেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। কারণ প্রশাসনসহ সবাই তাদের ভয় পান। দুমকিতে শিক্ষক থেকে সাংবাদিকতা পেশায় জড়িতরা হলেন, মুরাদিয়া মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক কাজী বেলায়েত হোসেন দুলাল, আজিজ আহম্মেদ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক এবাদুল হক বাদল, দুমকি একে মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক স্বপন কুমার দাস, দুমকি আঙ্গারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শঙ্কর মিত্র, দুমকি আজিজ আহম্মেদ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো: রিয়াজুর ইসলাম, দুমকি উত্তর শ্রীরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো: জাহিদুল ইসলাম, সৃজনী বিদ্যানিকেন’র প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল কুদ্দুস, দুমকি টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট মহিলা কলেজ’র অধ্যক্ষ মো: জামাল হোসেন। এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মো: শরীফুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335