শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৪:১২ অপরাহ্ন

চকরিয়া-পেকুয়ায় বোরো আবাদ শুরু

কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় বোরো মৌসুমের ধান চারা রোপন শুরু হয়েছে। কৃষকরা চাষ দিয়ে চারা রোপনের উপযুক্ত করতে ব্যস্ত সময় পার করছে। চকরিয়া উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর।

মাতামুহুরী নদীর উপর পালাকাটা ও বাঘগুজারা রাবার ড্যাম দুটি ফুলানো হয়েছে। কৃষকরা শ্যালো মেশিন দিয়ে মিঠাপানি তুলে অবাধে চাষাবাদ করছে। এবারে মিঠাপানির প্রবাহ বেশী।

সরেজমিন দেখা য়ায়, চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের বুন্দাবনখিল এলাকার কৃষক মোজাফফর আহমদ তার নিজের ৫একর জমি চাষ দিয়ে চারা রোপনের উপযোগী করেছেন। শ্রমিক দিয়ে চারা রোপনের কাজ চলছে।

 

মোজাফফর আহমদ বলেন, ডিপটিউবওয়েল এর পানি দিয়ে চাষাবাদ চলছে। প্রতি কানি (২০ শতক) জমিতে পানি বাবদ আড়াই হাজার টাকা করে খরচ দিতে হচ্ছে। বিআর ৩৯ জাত রোপন করেছি। আশাকরি এবার আশানুরুপ ধান উৎপাদন হবে।

কোনাখালী ইউনিয়নের কৃষক মাসুক আহমদ বলেন, রাবার ড্যাম ফুলানোর পর পানিতে টুইটম্বুর। পানি নিয়ে কৃষকের কোন চিন্তা নেই।

অপরদিকে, পেকুয়ায় ভোলাখালের উপর গোঁয়াখালী রাবার ড্যাম ফুলানো হয়েছে। পাশাপাশি টৈটং খালের উপর অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ কাজ চলছে। এতে ২১ হাজার কৃষক সুফল পাবে। পেকুয়ায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৭ হাজার ১৪০ হেক্টর।

পেকুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তপন কুমার রায় বলেন, পেকুয়ার ৭ ইউনিয়নের ২১ হাজার কৃষক একটি স্থায়ী রাবার ড্যাম ও একটি অস্থায়ী বাঁধ দিয়ে চাষাবাদ করে। পেকুয়ার সীমান্তবর্তী বাঘগুজারা র‌্যাবার ড্যামের সুফলও পেকুয়ার কিছু কৃষক ভোগ করে।

চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম নাসিম হোসেন বলেন, বোরো মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে। এবার পরিবেশ ভাল থাকলে ভাল ফলনের আশা করছি। উপজেলার চোয়ারফাঁড়ি, ইলিশিয়া ও কোনখালী স্লুইচগেট বন্ধ রাখা হয়েছে। যাতে জলমহালগুলোতে লবনাক্ত পানি ঢুকতে না পারে।

তিনি আরও বলেন, এবার মাতামুহুরী নদীতে মিঠা পানির প্রবাহ বেশী। পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্র অর্জন সম্ভব হবে। ()

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335