বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৫:০৮ অপরাহ্ন
নেত্রকোনা প্রতিনিধি: ঘটনা খালিয়াজুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। এ অফিসের গাড়ি নিয়ে কেন্দুয়া উপজেলায় প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখেন মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূরুল হুদা খান। এমনটি অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিজ প্রাইভেট রোগী দেখার জন্যে দীর্ঘদিন ধরে এমন কর্মকাণ্ড করছেন তিনি। অন্যদিনের মতো (১৫ আগস্ট) মঙ্গলবার বিকেলে গাড়িটি নিয়ে কেন্দুয়ার এক প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখতে যান তিনি।00
নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল খালিয়াজুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য একটি গাড়ি বরাদ্দ দেয় সরকার। বছরে ছয় থেকে সাত মাস খালিয়াজুড়ি উপজেলার সমস্ত রাস্তা পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় থাকে। তাই খালিয়াজুড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাড়িটি মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়।
এ ব্যাপারে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নূরুল হুদা খান জানান, খালিয়াজুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাড়ি ও চালক মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করে। তাই সিভিল সার্জন ও খালিয়াজুড়ি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেই গাড়িটা আমি ব্যবহার করি। মদন থেকে কেন্দুয়া উপজেলা মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে থাকায় মাঝে মধ্যে আমি গাড়িটা নিয়ে যাই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ ব্যাপারে খালিয়াজুড়ি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাসানুল মাহমুদ মুঠোফোনে জানান, আমার উপজেলার রাস্তায় ছয় থেকে সাত মাস পানি থাকে। সেই সময়টায় গাড়িটি মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখতে হয়। কিন্তু গাড়িটি দিয়ে মদন উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যাতায়াত করেন, তা আমার জানা নেই। গাড়িটি কিভাবে কেন্দুয়া উপজেলায় গেল সে বিষয়ে গাড়ির চালকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা সিভিল সার্জন সেলিম মিয়া জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাড়িটি মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়। সেই গাড়ি দিয়ে প্রাইভেট চেম্বার করার ব্যাপারে আমি জানি না।সরকারি গাড়ি নিয়ে যদি প্রাইভেট চেম্বারে গিয়ে থাকে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।