শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০২:৩৩ অপরাহ্ন
দুমকি(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর দুমকিতে ক্রয়কৃত সম্পত্তির ভিটিবাড়ি থেকে উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের দুমকি সাতানী গ্রামের মৃত বনমালী শীলের ভাতিজা দুলাল শীলের ছেলে রাধেশ্যাম শীল ভূঁয়া ওয়ারিশ দাবিতে এলাকার একটি প্রভাবশালীচক্রের যোগসাজসে দেওয়ানী মামলায় জজকোট ও হাইকোর্টের রায়ে পরাজিত হয়ে জোড়পূর্বক দখল চেষ্টা চালাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলার দুমকি সাতানী মৌজার জেএল নং ৫১ এর এসএ ৩৫২ খতিয়ানের দাগ নং ৪০০,৪৩৭ ও ৪৬২ এর রেকর্ডিও মালিক মৃত-রাজকুমার শীলের পুত্র বনমালী শীলের কাছ থেকে ‘৯৪ সালে ৬৮৮নং সাফ কবলা দলিলমূলে একই এলাকার আ: কাদের হাওলাদারের ছেলে আবদুল লতিফ হাওলাদার ও আঠারগাছিয়া সাকিনের মৃত আসমান হাওলাদারের ছেলে সেলিম হাং এবং আনোয়ার হাওলাদার .৯৭ শতাংশ জমি কিনে ভোগদখল করে আসছেন। বিষয়টি এলাকার প্রভাবশালী দুস্টচক্রের মাথাব্যাথার করণ হয়। সংখ্যালঘু দাতা বনমালী শীলের মৃত্যুর পর তার ভাইয়ের ছেলে দুলাল শীলকে ওয়ারিশ সাজিয়ে পটুয়াখালী দেওয়ানী আদালতে লতিফ হাং গংদের বিরুদ্ধে ভাক্ত দলিলের মামলা করেন। যা বিচারে খারিজ হয়ে যায়। নি¤œ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জজকোর্টে আপীল এবং হাইকোর্টে পুণ:আপীল মামলায় নি¤œ আদালতের রায় বহাল রয়েছে। উচ্চআদালতের মামলায় পরাজিতের পর চক্রটি পেশীশক্তির প্রভাবে ওই সম্পত্তি ভোগদখলের পায়তারা করছে। স্থানী প্রশাসন ও রাজনৈতিক প্রভাবকে হাতিয়ার বানিয়ে ক্রয়কৃত সম্পত্তির দখল উচ্ছেদে চক্রটি মরিয়া হয়ে ওঠেছে। তারা ভুক্তভোগি লতিফ হাওলাদার অভিযোগ করেন, রেকর্ডিও মালিক তার কবলা সম্পত্তির দাতা বনমালী শীল তার জীবদ্দশায় জমির কবলা দলিল রেজিষ্ট্রিমূলে বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দিয়ে ভারত চলে গেছেন। তার দেশ ত্যাগ ও মৃত্যুর পর অসৎ উদ্দেশ্যে ওই এলাকার একটি ভূমিদস্যুচক্রের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তাকে বেদখল করতে হেনচেষ্টা নেই যা তারা করে নাই। উচ্চ আদালতের রায়ে পরাজিত হবার পড়েও তারা জোড়দখলের অপচেষ্টা করছে। আমি অবৈধ দখলদারদের শাস্তির দাবি করছি এবং আমার ভোগদখলীয় সম্পত্তি রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।