শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১০:১২ অপরাহ্ন

প্রচণ্ড গরমেও জমজমাট খুলনার ইফতার বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেখতে দেখতে পবিত্র মাহে রমজানের ১৯ দিন অতিবাহিত হয়েছে। রমজানের প্রথম কয়েকদিন আবহাওয়া ভালো থাকলেও বর্তমানে যেন লু হাওয়া বইতে শুরু করেছে। প্রচণ্ড এই তাপমাত্রার মধ্যে রোজা থেকে হাঁপিয়ে উঠছেন রোজাদাররা। তবে গরমের প্রভাব পড়েনি ইফতারে। নানা রকম ঠান্ডা পানীয় আর ফলমূলের সঙ্গে ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, হালিম, দই বড়া, ফ্রাইড চিকেন, টিকিয়া, জিলাপি, চিকেন বল, তেহারী ইত্যাদি না থাকলে ইফতারের সময় মনে হয় যেন কিছুই নেই।

রমজান মাসের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ মুসলমানদের ধর্মীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদুল ফিতরের জন্য অনেক কেনাকাটা করে থাকেন মুসলমানরা। এই কেনাকাটার মধ্যে রকম ফের থাকলেও ইফতারের সময় ভাজাপোড়া রাখার বিষয়ে কখনোই পরিবর্তন হয় না। আর তাইতো খুলনায় ইফতারের দোকানগুলোও রয়েছে জমজাট। রোজাদাররা ঘুরে ঘুরে তাদের পছন্দের ইফতার সামগ্রী ক্রয় করছেন। তবে কেউই গুণগত মানের সঙ্গে আপস করছেন না। দাম একটু বেশি হলেও ভালো জিনিস কেনার চেষ্টা করছেন সবাই।

রোজার শুরু থেকে নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় ভালো মানের ইফতারি বিক্রি করছে গ্রীল হাউজ, হোটেল ক্যাসেল সালাম, নগরীর সাতরাস্তা মোড়ের শামীম হোটেল, ময়লাপোতা মোড়ের গ্রান্ড প্লাসিড হোটেল, শিববাড়ি মোড়, জেসকো, ডাকাবাংলো মোড়, পাইওনিয়র কলেজ মোড়, টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোড মোড়সহ খুলনাজুড়ে কয়েক হাজার ইফতার বিক্রির অস্থায়ী দোকান গড়ে উঠেছে। প্রতিদিন একেকটি দোকানে ৫০০ থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকার বেশি ইফতার বিক্রি হয়।

নগরীর পাইওনিয়র কলেজ মোড়ের ইফতার বিক্রেতা মো. আকবর শেখ জানান, প্রতিদিন তিনি বেশ ভালো বেচাকেনা করেন। তার দোকানে যেসব ইফতার সামগ্রী বিক্রি করা হয় তা খুব স্বাস্থ্যসম্মত। রাস্তার পাশে দোকান হওয়ায় সমস্ত ইফতার যত্ন সহকারে ঢেকে রাখা হয়।

আকবর হোসেন বলেন, ছোলা, পিঁয়াজু, বেগুনি এসবের সঙ্গে রয়েছে বড় জিলাপী, ছোট জিলপী, নানা ধরনের চপ। সেইসঙ্গে রোজা চিকেন বিরিয়ানি কাবাব, দই বড়া, চিকেন টিকিয়া, চিকেন বল। যা এবছর অত্যাধিক পরিমাণে ক্রেতাদের পছন্দ হয়েছে।

এই দোকান থেকে প্রতিদিন ইফতার নিয়ে যান সমিনা রহমান। তিনি বলেন, সারাদিন রোজা থাকার পর একটু স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করা সবারই উচিত। এখানে ভালো জিনিস পাওয়া যায়, তাই অফিস শেষে বাড়ি ফেরার সময় কিছু ইফতার সামগ্রী হাতে করে নিয়ে যাই।

নগরীর সাত রাস্তার মোড়ে শামীম প্রোপ্রাইটর হোটেলের মো. শামীম হোসেন বলেন, তিনি প্রতি বছর ইফতারের জন্য বিশাল আয়োজন করে থাকেন। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। রোজা শেষ দিকে চলে এলেও ইফতারের পরিমাণ রয়েছে আগের মতোই।

নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারে ইফতার সামগ্রী বিক্রেতা জামাল হোসেন বলেন, তিনি প্রতিদিন সাত থেকে আট হাজার টাকার ইফতার সামগ্রী তৈরি করে থাকেন। দিন শেষে তার ১ থেকে দেড় হাজার টাকা লাভ থাকে।

জামালের দোকানের ইফতারের নিয়মিত ক্রেতা এসএম আমিনুল ইসলাম বলেন, জামালের দোকানের ইফতার বেশ কয়েক বছর ধরেই বাড়িতে নিয়ে যাই।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335