শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝালকাঠির রাজাপুরে ১২ ফুট বাঁশের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয় সেতুতে। এতে প্রায়ই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন সাংগর খালের ওপর সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় এভাবেই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষ।
অফিস সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সাংগর খালের ওপর ২০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৭.৩ মিটার প্রস্থের সিসি গার্ডার ব্রিজটি নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করে। ২ কোটি ১৭ লাখ ৯৮ হাজার ৬৬৭ টাকা ব্যয় করে ‘মেসার্স হাবিব সন্স-খন্দকার বিজনেস’ নামে ঝালকাঠির একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্রিজটি নির্মাণের দায়িত্ব পায়। ২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ব্রিজ নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়। ২০২২ সালের ৩০ এপ্রিল সম্পূর্ণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখনও দুইপাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেনি ঠিকাদার।
ফলে দুই পাশের শত শত মানুষ রয়েছে চরম দুর্ভোগে। জনদুর্ভোগ লাঘবে সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ করলেও সেই ব্রিজে এখন ভোগান্তির মাত্রা আরও বেড়েছে। বর্তমানে নতুন ব্রিজে ওঠার জন্য এলাকাবাসী কাঠ-বাঁশ দিয়ে সিঁড়ি তৈরি করে তাতেই ব্রিজ পার হচ্ছে। প্রায় ১২ ফুট উঁচু ব্রিজে বাঁশের সিঁড়ি বেয়ে ওঠা-নামা করতে গিয়ে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয় রহমত আলী, জব্বার হোসেন, কহিনুর বেগম ও রাজ্জাক হাওলাদার জানান, ব্রিজটি হওয়ায় তাদের আশা ছিল ভোগান্তি দূর হবে। কিন্তু এখন উল্টো দুর্ভোগ বেড়েছে। সিঁড়ি বেয়ে ব্রিজে উঠতে গিয়ে অনেক সময় শিশু ও বৃদ্ধরা পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
এছাড়া পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসতে হলে তাদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ব্রিজের ঠিকাদার মো. শাহিন হোসেন জানান, কর্তৃপক্ষের একেক সময় একেক রকমের সিদ্ধান্তের কারণে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। এখন একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এসেছি, শিগগির সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী অভিজিৎ মজুমদার বলেন, ঠিকাদার শিগগিরই ওই ব্রিজের বাকি কাজ শুরু করবেন।