শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১২:২৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ও মার্চ ফর মাদার সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে জরায়ুমুখের ক্যানসার সচেতনতায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি ‘জননীর কাছে সবার আছে জন্মঋণ, জরায়ু- মুখের ক্যান্সার সচেতনতায় অংশ নিন’— স্লোগানে জননীর জন্য পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন— প্রতিবছর ৮ হাজারের বেশি নারী জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ৬ হাজারের বেশি নারী মারা যান। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে ক্যানসার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে। আর এ কাজ করতে সর্বপ্রথম জাতীয় ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রণয়নের দাবি জানান তারা।
জরায়ুমুখের ক্যানসার সচেতন দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ডিআরইউ চত্বর থেকে পদযাত্রা বের করা হয়। এরপর দুপুরে ডিআরইউ সাগর-রুনি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বক্তারা জরায়ুমুখের ক্যানসার সচেতনতায় জাতীয় ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রণয়নের দাবি জানান। পরে দিবসটি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে ও মার্চ ফর মাদারের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গাইনি চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. টি এ চৌধুরী। এসময় সভায় বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য ও সচিব আবুল কালাম আজাদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক মোজাহেরুল হক, ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, মাতুয়াইল মা ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. শারিয়া তাসনিম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গাইনি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাবেরা খাতুন, হপকিন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডা. হালিদা খানুম আক্তার, ডিআরইউর কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ। এ সময় ডিআরইউ দপ্তর সম্পাদক কাওসার আজম ও কার্যনির্বাহী সদস্য কিরণ শেখ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, দেশে অতীতের চেয়ে ক্যানসার চিকিৎসায় অগ্রগতি হয়েছে। তবে, এ চিকিৎসার ফলোআপ চেকআপ ব্যবস্থায় একেবারেই পিছিয়ে। বর্তমানে জরায়ুমুখের ক্যানসার জনসচেতনতা সম্পর্কে যে অগ্রযাত্রার সূচনা হলো এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশ থেকে দ্রুততম সময়ে এ রোগ মুক্ত করা সম্ভব।