শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১২ পূর্বাহ্ন

রাতের ইবাদত দেখতে বিশ্বনবী (সা.)-এর বাড়িতে

জিটিবি নিউজ ডেস্ক : মহানবী (সা.) রাতকে ইবাদতের মুখ্য সময় মনে করতেন। রাতের প্রথম ভাগে নিদ্রা যেতেন। অবশিষ্ট রাত ইবাদতে অতিবাহিত করতেন। রাতের সালাতের ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) আদিষ্ট ছিলেন। বিজ্ঞাপন মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘হে বস্ত্রাবৃত, রাত জাগরণ করো কিছু অংশ ছাড়া। অর্ধ রাত কিংবা তার চেয়ে কম। অথবা তার চেয়ে বেশি। আর কোরআন পড়ো ধীরে ধীরে ও সুস্পষ্টভাবে। ’ (সুরা : মুজ্জাম্মিল, আয়াত : ১-৪) তাহাজ্জুদের নামাজ রাসুল (সা.)-এর ওপর ফরজ ছিল। ফলে শেষ রাতে ঘুম থেকে ওঠা বাদ যায়নি।রাতে তিনি কত রাকাত নামাজ পড়তেন এ ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনা রয়েছে। হুজায়ফা (রা.) একদিন রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে রাতের ইবাদতে শরিক হন।

তিনি বলেন, এক রাতে আমি নবী (সা.)-এর সঙ্গে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করলাম। তিনি সুরা বাকারা শুরু করেন। আমি ভাবলাম, তিনি হয়তো এক শ আয়াত পড়ে রুকু করবেন। কিন্তু এর পরও তিনি পড়ে চললেন। তখন আমি চিন্তা করলাম, তিনি এর (সুরা বাকারা) দ্বারা পুরো দুই রাকাত পড়ে সালাম ফেরাবেন। কিন্তু তিনি এর পরও পড়তে থাকেন। আমি ভাবলাম, সুরাটি শেষ করে তিনি রুকু করবেন। কিন্তু এরপর তিনি সুরা নিসা পড়তে শুরু করলেন এবং তা পাঠ করলেন। অতঃপর তিনি সুরা আলে ইমরান শুরু করলেন এবং তা পাঠ করলেন।তিনি থেমে থেমে ধীরে ধীরে পড়ছিলেন এবং তাসবিহর (আল্লাহর প্রশংসাসূচক) আয়াত এলে তাসবিহ পড়ছিলেন আর কিছু চাওয়ার আয়াত এলে চাইলেন।

যখন আশ্রয় প্রার্থনা করার কোনো আয়াত পড়ছিলেন তখন প্রার্থনা করছিলেন। অতঃপর তিনি রুকু করলেন। রুকুতে তিনি বলতে থাকলেন, ‘সুবহা-না রাব্বিয়াল আজিম’ (আমার মহান রব পবিত্র, আমি তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করছি)। তাঁর রুকু দাঁড়ানোর মতো দীর্ঘ ছিল। এরপর ‘সামি আলা-হু লিমান হামিদাহ’ (আল্লাহ শুনে থাকেন যে তাঁর প্রশংসা করে) বললেন। এরপর যতক্ষণ সময় রুকু করেছিলেন প্রায় ততক্ষণ সময় পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকলেন। এরপর সাজদা করলেন। সাজদাতে তিনি বললেন, ‘সুবহা-না রাব্বিয়াল আলা’ (মহান সুউচ্চ সত্তা আমার রব পবিত্র, আমি তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করছি)। তাঁর এ সাজদায়ও প্রায় দাঁড়ানোর সময়ের মতো দীর্ঘায়িত হলো। (মুসলিম, হাদিস : ১৬৯৯)

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335