শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৬ অপরাহ্ন
জিটিবি নিউজ ডেস্ক : পৌষের শুরু থেকেই বেড়েছে শীতের দাপট। সন্ধ্যার আগেই কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে মাঠ-ঘাট, সড়ক-মহাসড়কসহ সব জায়গা। সন্ধ্যার পর ঘড়ির কাটার সঙ্গে বাড়তে থাকে কুয়াশার ঘনত্বও। এমন পরিস্থিতিতে ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাতের বেলা যানবাহনের সংখ্যা কমছে। রাতের অন্ধকারে কুয়াশা ভেদ করে অধিক ঝুঁকি নিয়ে যেসব যানবাহন চলছে সেগুলোর গতিও কম। সরেজমিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা ও মাধাইয়া বাস স্টেশন এলাকায় ঘুরে রাত ৯টার পর থেকে যানবাহনের সংখ্যা অনেক কম দেখা গেছে। এতদিন যেসব যানবাহন এলইডিসহ আধুনিক বিভিন্ন হেডলাইট জ্বালিয়ে অতিরিক্ত গতিতে ছুটে চলতো সেসব যানবাহনের হেডলাইটের আলোতে ১০ থেকে ১৫ ফুট দূরত্বেও ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে না। ফলে ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বা এর চেয়েও বেশি গতিতে ছুটে চলা যানবাহনগুলোর অধিকাংশই চলছে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিতে। অন্যদিকে যেসব যানবাহনের হেডলাইটের আলো কম সেগুলো বিভিন্ন তেল-গ্যাসের পাম্পে বা নিরাপদ স্থানে পার্কিং করে দিনের আলোর অপেক্ষা করছে। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের বাস চালক মোস্তফা বলেন, ‘প্রচন্ড কুয়াশা পড়ছে। মহাসড়কের যেসব স্থানের আশপাশে কোনো বাড়িঘর নেই সেসব ফাঁকা স্থানগুলোতে হেডলাইটের আলোও কাজ করছে না। এমন অবস্থাইয় পাঁচ ফুট দূরের কিছুও দেখা যাচ্ছে না। কুয়াশায় গাড়ির সামনের গ্লাস ঘোলা হয়ে যাচ্ছে। এখন রাত মাত্র ১০টা বাজে, অনেক কষ্টে এ পর্যন্ত (চান্দিনা) এসেছি। আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছি। ঢাকায় গিয়ে কখন পৌঁছতে পারবো তার ঠিক নেই। ‘ চান্দিনার কাঠেরপুল এলাকার পেট্রল পাম্পে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক চালক আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমার গাড়ির হেডলাইটের আলো কম। এই কুয়াশায় এক কিলোমিটারও যাওয়া সম্ভব না বিধায় আমি গাড়ি পার্কিং করে বসে আছি। সকাল হলে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হবো। ‘ হাইওয়ে পুলিশ ময়নামতি ক্রসিং থানার উপ-পরিদর্শক শরীফুল ইসলাম জানান, যেকোনো সময়ের তুলনায় কুয়াশাচ্ছন্ন রাতে মহাসড়কে সকল শ্রেণীর যানবাহন চলাচল কমে গেছে। এখন পর্যন্ত কুমিল্লা অংশে বড় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও চালকরা ঝুঁকি নিতে গেলেই বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্ক করেন তিনি। ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক ওবায়েদুল হক জানান, কুয়াশায় গাড়ি চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। আগে রাতের বেলা গাড়ি বেশি চলতো, এখন তা উল্টো। রাতে কুয়াশার ফলে দিনের বেলাতেই গাড়ির চাপ বেশি হচ্ছে। অনেক চালক সকাল হওয়ার অপেক্ষায় পেট্রল পাম্পগুলোতে গাড়ি পার্কিং করে বসে আছে। এমন পরিস্থিতিতে গাড়ির গতি বেশি থাকলে দুর্ঘটনার সম্ভবনাই বেশি থাকবে। তাই তারা গাড়ি চালকদের নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে এবং ফগলাইট ব্যবহার করে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দিচ্ছেন।