বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০২ পূর্বাহ্ন
জিটিবি নিউজ ডেস্ক : চীনে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে অনেক বেড়েছে কভিড সংক্রমণের হার। এ কারণে বিশ্বের অনেক দেশ এরই মধ্যে চীন থেকে আগতদের জন্য কভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে। অনেক দেশ আবার সম্ভাব্য কোয়ারেন্টিনের কথাও ভাবছে। বিবিসির চিকিত্সাবিষয়ক সম্পাদক ফার্গাস ওয়ালশ এক নিবন্ধে বলেছেন, চীনে এখন যে ভাইরাসটি ধরা পড়ছে, তা একদম নতুন কোনো উপধরন নয়। এটি আসলে ওমিক্রন ভাইরাসের ভিন্ন ধরন। করোনাভাইরাসের বিএ.৫ ধরন থেকেই বিএ.৭ ও বিকিউ.১-এর উদ্ভব। ওমিক্রন পরিবারের হওয়ায় আগের উপধরনগুলোর তুলনায় এগুলো আরো বেশি সংক্রামক। উপধরনগুলো চীনের বাইরেও বিভিন্ন স্থানে শনাক্ত হয়েছে। ওয়ালশ আরো উল্লেখ করেছেন, ওমিক্রন এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করছে। ভবিষ্যতে নতুন ধরনের কোনো উপধরনের সম্ভাব্যতাও বাতিল করে দেওয়া যাচ্ছে না। বিবিসির চিকিত্সাবিষয়ক সম্পাদক বলেন, চীনের কভিড নজরদারি সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্তের স্বল্পতা রয়েছে। এ কারণেই বিশ্বের বহু দেশ সেখান থেকে আগতদের কভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করছে। কভিড যত বেশি ছড়ানোর সুযোগ পাবে, নতুন উপধরন তৈরি হওয়ার শঙ্কাও তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, চীন থেকে যাওয়াদের কভিড পরীক্ষার ফলাফল ‘নেগেটিভ’ হলে তা সংক্রমণকে ধীর করবে। তাতে কভিড সংক্রমণ থেমে যাবে—এমন কথা কেউই বলছে না। অন্যদিকে ইতালি বলছে, চীন থেকে সে দেশে পা রাখার পর আবার পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। ‘পজিটিভ’ হলে কয়েক দিন কোয়ারেন্টিনেও থাকতে হবে। যুক্তরাজ্যে এখন প্রতি সপ্তাহে ১০ লাখের বেশি মানুষ কভিডে সংক্রমিত হচ্ছে। টিকা ও একাধিক স্বাভাবিক সংক্রমণে ব্রিটিশদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে উঠেছে। ফলে সেখানে কভিড একসময় যত বড় হুমকি ছিল, এখন আর ততটা নয়।
সূত্র : বিবিসি