বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন

পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ টাকা পাচারের উদ্দেশ্যে ডিম আমদানির পাঁয়তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে এখন বছরে ডিমের চাহিদা সাড়ে চার কোটি, উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৫ কোটি। তারপরও সংকট দেখিয়ে ডিম আমদানি করতে চায় একটি সিন্ডিকেট। টাকা পাচারের উদ্দেশ্যে ডিম আমদানির পাঁয়তারা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন বিপিএ’র সভাপতি সুমন হাওলাদার।

দেশের প্রান্তিক খামারিদের টিকিয়ে রাখতে এই চক্রটিকে ডিম আমদানির অনুমোদন না দেওয়াসহ সরকারের কাছে সাত দফা দাবি জানিয়েছে খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশন (বিপিএ)।

দাবিগুলো হলো- অসাধু সিন্ডিকেট থেকে পোল্ট্রি সেক্টরকে রক্ষা করতে হবে। ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া যাবে না। খাদ্যের উপর সরকারি ভর্তুকিসহ অন্যান্য ফ্যাসিলিটি বাড়িয়ে মূল্য কমাতে হবে। পোল্ট্রি নীতিমালা প্রণয়নসহ পোল্ট্রি বোর্ড গঠনের মাধ্যমে উৎপাদন খরচের সঙ্গে সমন্বয় করে ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করতে হবে। সব খামারিদের নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। সহজ শর্তে ব্যাংক লোন এবং ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা।

সুমন হাওলাদার বলেন, বর্তমানে পোল্ট্রি শিল্প মারাত্মক হুমকির মুখে। কিন্তু দেশবিরোধী কিছু আমদানিকারক ডিম আমদানির আবেদন করেছেন। সরকার অনুমতি দিলেই তারা আমদানি করবেন। যা পোল্ট্রি শিল্প ধ্বংসের আরেকটি ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি।

‘বাংলাদেশে ডিমের চাহিদা সাড়ে চার কোটি। আমাদের ডিম উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৫ কোটি। তারপরেও যারা ডিম সংকট বলছেন তাদের উদ্দেশ্য ধান্দাবাজি। বাজারে চাহিদা কম থাকায় আমাদের দেশে খামারিরা ডিম ও মুরগি বিক্রি করতে পারছেন না। তারপরও যারা ডিম ও মুরগির সংকটের কথা বলছেন, তারা দেশের প্রান্তিক খামারিদের ধ্বংস করে সিন্ডিকেট করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে চান। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, ডিম আমদানি বন্ধ করুন। প্রান্তিক খামারিদের রক্ষা করুন।’

এদিকে চুক্তিবদ্ধ খামারের নামে প্রান্তিক খামারিদের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে স্ট্যাম্প ও চেক নিয়ে প্রতারণা করে গুটিকয়েক করপোরেট কোম্পনি বছরে ১ হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে বলেও দাবি করেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335