মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: দিনাজপুরের খুচরা বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ টাকা কমেছে দেশি কাঁচামরিচের দাম। এখন প্রতি কেজি মরিচ ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৪০ টাকায়।
হিলি বাজারেও দেশি কাঁচামরিচের সরবরাহ বেশি, দামও কম। তবে ভারতীয় কাঁচামরিচের দাম বেশি। তাই বন্ধ আছে আমদানি।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকালে দিনাজপুর পৌর শহরের বাহাদুর বাজার, গুদুরি বাজার পুলহাট ও নিউটাউন বাজরে কাঁচামরিচ ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজারে বিক্রেতারা চিৎকার করে ক্রেতাদের উদ্দ্যেশে হাঁক ডাকছিলেন, কাঁচামরিচ ২০! কাঁচামরিচ ২০! আর ক্রেতারা এ শুনে হাসাহাসি করছিলেন।
দিনাজপুরে বাহাদুর বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রেতা মোমিনুল ইসলাম বলেন, দেশি ও স্থানীয় মরিচ বাজারে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। মানুষ আধা কেজির নিচে মরিচ কিনছেন না, আর আমরাও বিক্রি করছি না।
বাজারে কাঁচামরিচ ক্রেতা শাহিনুর ইসলাম বলেন, বাজারে প্রায় সব সবজির দাম এখন কম। তবে কাঁচামরিচের দাম একটু বেশি কম হনে হচ্ছে। এ মরিচ কিছুদিন আগেও ৪০-৬০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়েছে। বর্তমানে পেঁয়াজের দামও কমেছে। এ অবস্থায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
তার দাবি, সরকার যদি তেল, চিনি, চাল, আটাসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম সহনশীল পর্যায়ে রাখতো তাহলে আমাদের গরীব মানুষগুলোর জন্য সুবিধা হতো।
নিউটা বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা মনসুর আলী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়া ভালো থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মরিচের উৎপাদন বেশ ভালো হয়েছে। এতে বাজারে দেশীয় মরিচের সরবরাহ বেড়েছে। দামও কমেছে। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি।
পুলহাট এলাকার কাঁচামাল ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান বলেন, প্রচুর মরিচ বাজারে আসছে। সকালে মরিচ ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বিকেলে তা আরও কমে যায়। একটু নরমাল মরিচ ১০ টাকা কেজিও বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ বলেন, দেশের বাজারে মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বন্দর দিয়ে মরিচ আমদানি হচ্ছিল। কিন্তু বর্তমানে দেশি মরিচের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। তাই ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে না।