বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন

তুরস্কে সামরিক অভ্যুত্থানচেষ্টা এরদোয়ানকে প্রথম সমর্থন দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পারস্পরিক বিশ্বাসকে বাংলাদেশ তুরস্কের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান

তিনি বলেছেন, অতীতে বাংলাদেশ তুরস্কের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি থাকলেও বর্তমানে দুদেশের সম্পর্কের ভিত্তিবিশ্বাস ২০১৬ সালে তুরস্কে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম নেতা, যিনি আমাদের প্রেসিডেন্টকে (রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান) সমর্থন দিয়েছিলেন। পারস্পরিক বিশ্বাস না থাকলে এটি সম্ভব হতো না

বুধবার (১৬ নভেম্বর) সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ আয়োজিত মিট দি অ্যাম্বাসেডর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৬ সালে জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর হয়। এরপরই ঢাকা থেকে নিজ দেশের রাষ্ট্রদূত সরিয়ে নেয় তুরস্ক। বাংলাদেশও আঙ্কারায় নিজ দেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায়

রাষ্ট্রদূত বলেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে তখন দুদেশের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল

এর ব্যাখ্যা হিসেবে ওসমান তুরান বলেন, রাজনৈতিক নেতার ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়। তুরস্কে আমাদের তেমন অভিজ্ঞতা আছে

প্রসঙ্গে তিনি জানান, ষাটের দশকে সামরিক অভ্যুত্থানের পর তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রীকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছিল। এর ১০ বছর পর ক্ষমতার পালাবদল হলে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের তিনজনকে প্রতিহিংসার বশে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়। তবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় প্রতিহিংসার কোনো স্থান নেই

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, তখন বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে আমরা চেয়েছিলাম বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা। আমরা আমাদের পরামর্শ তুলে ধরেছিলাম। তবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমরা কিন্তু নাক গলাতে চাইনি। একসময় বিষয়টি এমনভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় যে আমরা রাষ্ট্রদূতকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হই। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আবার আমাদের রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়েছিল

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335