শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:২৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের (স্বাচিপ) ৫ম জাতীয় ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আগামী ২৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন দুপুর আড়াইটায় সম্মেলন শুরু হবে।
স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান ২৫ নভেম্বর সম্মেলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সম্মেলনকে সামনে রেখে আজ (১২ নভেম্বর) স্বাচিপের সম্পাদকমণ্ডলীর এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া আগামী ১৫ নভেম্বর স্বাচিপের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে।
স্বাচিপ সূত্র জানায়, বর্তমানে সারাদেশে স্বাচিপের সদস্য সংখ্যা ১৫ হাজারেরও বেশি। প্রতি ৫ বছর পর পর সংগঠনটির সম্মেলন হওয়ার কথা। ২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর স্বাচিপের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলেও ওইদিন কমিটি গঠনের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর ওপর ছেড়ে দিয়ে সম্মেলন স্থগিত করা হয়।
পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান সভাপতি ও অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুসারে পাঁচ বছর পর পরবর্তী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে তা সময়মতো হয়ে ওঠেনি।
এরপর মহামারি করোনার কারণে গোটা বিশ্ব থমকে যাওয়ার উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সময়মতো স্বাচিপের সম্মেলনের আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, সম্মেলনকে সামনে রেখে পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসব-উদ্দীপনা দেখা গেছে। গত বেশ কিছুদিন ধরে পদপ্রত্যাশীরা কাঙ্ক্ষিত পদের জন্য রাজনৈতিক নেতাদের কাছে লবিং ও তদবির করছেন বলে জানা গেছে।
স্বাচিপের সিনিয়র কয়েকজন নেতা বলেন, ২০২৪ সালের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আগে স্বাচিপের নেতৃত্বে পরীক্ষিত নেতাদের পদ দিতে হবে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দল ক্ষমতায় থাকায় অনেক সুযোগসন্ধানী কথিত স্বাচিপ নেতা তৈরি হয়েছে। স্বাচিপের দুর্দিনে যাদের দেখা যায়নি এখন তাদের অনেকেই বড় নেতা সাজছেন! এ কারণে এবারও দলীয় প্রধানের কাছ থেকেই স্বাচিপের শীর্ষ নেতা অর্থাৎ সভাপতি ও মহাসচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ পদের ঘোষণা আসতে পারে।
বর্তমানে স্বাচিপের সভাপতি পদে রয়েছেন অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান। দীর্ঘদিন চিকিৎসক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এ নেতাকে ফের সভাপতি হিসেবে দেখতে চান তার অনুসারীরা। তিনি ছাড়াও সভাপতি পদে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা ও বিএসএমএমইউ’র সাবেক উপাচার্য প্রখ্যাত নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার নাম শোনা যাচ্ছে।
মহাসচিব পদে বর্তমান মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ ময়মনসিংহ থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এলাকায় কাজ করছেন। তাই স্বাচিপের মহাসচিব পদে নতুন কাউকে দেখা যাবে।
আসন্ন সম্মেলনে বর্তমান মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজকে নতুন সভাপতি হিসেবে দেখা যেতে পারে। তিনি একজন পরীক্ষিত নেতা। তাছাড়া প্রথা অনুযায়ী মহাসচিব পদে যারা থাকেন তারা পরবর্তীতে সভাপতি হয়ে থাকেন। সারাদেশে আজিজের অনুসারীরা তাকে সভাপতি হিসেবে দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন।
এক্ষেত্রে অবসরপূর্ব ছুটিতে যাওয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. ইউসুফ ফকির ও ডা. জামালউদ্দিনের নাম জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। তবে সিনিয়র এসব স্বাচিপ নেতা ছাড়াও অনেকেই শীর্ষ পদ পেতে তদবির করছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর, একথা সবাই একবাক্যে স্বীকার করছেন।