শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৪ অপরাহ্ন
জিটিবি ডেস্ক: বাংলাদেশি খাবার সম্পর্কে নানা তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষার্থী বৃষ্টি খাতুন ও দিল আফরোজ নাহার
মালয়েশিয়ায় শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী অষ্টম সেলাঙ্গর ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো (ফুড ও বেভারেজ) ২০২২ বা খাদ্য ও পানীয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। এতে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মেলার উদ্বোধন করেন সেলাঙ্গর রাজ্যের ক্রাউন প্রিন্স টুংকু আমির শাহ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সেলাঙ্গর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইবি শ্রী আমিরুদিন বিন শারি। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এক্সপোতে অংশগ্রহণকারী সব দেশের কূটনৈতিক প্রধানরা।
রাজধানী কুয়ালালামপুরের কেএলসিসি কনভেনশন সেন্টারে এ মেলা চলবে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এ মেলা।
এবারই প্রথম বাংলাদেশ এ মেলায় অংশ নিয়েছে। বিশেষভাবে প্রাধান্য দিয়ে বিনামূল্যে বরাদ্দ দেওয়া ‘বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে’ বাংলাদেশি খাবারের রেস্তোরাঁ ব্যাচেলর পয়েন্ট, পিঠা ঘর ও আলোছায়া ঐতিহ্যবাহী খাবার প্রদর্শন করছে। একই সঙ্গে প্রাণের খাদ্য ও পানীয় এবং মন্নু সিরামিক পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে।
খাদ্য ও পানীয় সম্পর্কিত অংশে বিশ্বের ২৩টি দেশের সঙ্গে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশি খাবার। প্রথম দিনের বাংলাদেশি খাবারের ডেমোনেস্ট্রেশন ও গ্যাস্ট্রোনমি মাস্টার ক্লাসে অংশ নেন সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বৃষ্টি খাতুন ও বাংলাদেশ থেকে আসা আফরোজ নাহার। তারা খাবার সম্পর্কে বিদেশিদের কাছে নানা তথ্য তুলে ধরেন।
বৃষ্টি খাতুন বলেন, এ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের একটি ভিন্ন পরিচয় আজ উপস্থাপন করতে পেরেছি বলে ভালো লাগছে।
দিল আফরোজ নাহার বলেন, বাঙালির যে চিরায়ত আতিথেয়তার কথা প্রচলিত আছে তার সঙ্গে কিন্তু বাঙালির খাবার আছে। এ খাবার অনেক আগে থেকেই প্রসিদ্ধ ছিল কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রেজেন্টেশন সেভাবে ছিল না। বিশেষ করে বর্তমান যুগে খাবারের বিজ্ঞানভিত্তিক গুণাগুণ সম্পর্কে নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি আমরা সেই কাজটি করতে পারছি।
অষ্টম সেলাঙ্গর ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ২০২২-এ (খাদ্য ও পানীয়) ‘বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন’ ঘুরে দেখেন প্রবাসী বাংলাদেশিসহ মেলায় আসা দর্শকরা। এছাড়া বাংলাদেশ হাইকমিশনার কাউন্সিলার কন্স্যুলার জিএম রাসেল রানা ও প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখেন।
সেলাঙ্গর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইবি শ্রী আমিরুদিন বিন শারি বলেন, করোনা মহামারির পর সেলাঙ্গর আন্তর্জাতিক এ এক্সপো দিয়ে সেলাঙ্গর ১০ বিলিয়ন রিঙ্গিত অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ লক্ষ্য অর্জনে আশাবাদী।
স্টেট এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলর ফর ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেডের টেং চ্যাং খিম বলেছেন, আইএসবিএস এ অঞ্চলে সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক শীর্ষ সম্মেলন। আইএসবিএস ২০২২-এ ৬২৩টি কোম্পানির মোট ৯০৬টি বুথ রয়েছে, এটির ইতিহাসে নতুন রেকর্ড, ২৪টি দেশ থেকে অংশগ্রহণকারীরা এসেছেন, এটি চার দিনের শীর্ষ সম্মেলনের জন্য একটি নতুন রেকর্ডও। প্রায় ৩০ হাজার বিনিয়োগকারী আইএসবিএস ২০২২ পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।