শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জঙ্গি আস্তানা গড়তে সেখানে আত্মগোপনে ছিলেন ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার’ সামরিকপ্রধান রণবীর ও তার সহযোগী বোমা বিশেষজ্ঞ আবুল বাশার। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার খন্দকার আল মইন।
এর আগে ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি ম্যাগাজিন, দেশীয় তৈরি দুটি অস্ত্র, ১১টি কার্তুজ ও আড়াই লাখ টাকাসহ তাদের আটক করা হয়। অভিযানে আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জঙ্গিদের সঙ্গে র্যাবের গোলাগুলি হয়। তবে গোলাগুলিতে কেউ হতাহত হয়নি।
খন্দকার আল মঈন বলেন, কিছুদিন আগে বান্দরবানের পাহাড়ে এ জঙ্গি সংগঠন আস্তানা গড়ে তুলে প্রশিক্ষণ নেয়। পরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এসময় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। কিন্তু সেখান থেকে পালিয়ে যায় সামরিক শাখার প্রধান রণবীর ও তার সহযোগী বাশার। পরে তারা উখিয়ার কুতুপালং ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আত্মগোপন করেন।
তিনি বলেন, তরুণদের জঙ্গি সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করে সামরিক প্রশিক্ষণ দেন রণবীর। তাই র্যাবের প্রধান টার্গেট ছিলেন তিনি। রোহিঙ্গা তরুণদের প্রশিক্ষণ দিতে তিনি ক্যাম্পে আত্মগোপন ছিলেন কি না অথবা কোনো রোহিঙ্গা তরুণ এ সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে কি না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, গত আগস্ট মাসে কুমিল্লা থেকে আট তরুণ হিজরতের নামে স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে বের হন। তাদের খুঁজতে র্যাব ফোর্স নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সন্ধান পায়। এরপর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি ওই সংগঠনের বেশকিছু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
তিনি বলেন, এরপর গত ২০ অক্টোবর চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চল থেকে সামরিক শাখার তৃতীয় ব্যক্তি মানিক ও শাওনকে আটক করার পর তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। র্যাব হিজরতের জন্য বের হওয়া নিখোঁজ ৫৫ জনের তালিকা থেকে পাঁচ জনকে আটক করে। এরপর সামরিক শাখার শাওন ও মানিককে রিমান্ডে এনে তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে রণবীর ও বাশারের তথ্য পাওয়া যায়।
খন্দকার আল মঈন বলেন, এর আগে গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া অভিযানে জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৩৮ জন সদস্য এবং এ সংগঠনকে পাহাড়ে প্রশিক্ষণ ও আস্তানা গড়ে তুলতে সহযোগিতা করার অপরাধে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের ১৪ জনকে আটক করা হয়।