শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন
জিটিবি নিউজ টুয়েন্টিফোর : পশ্চিমা পোশাক স্যুট-টাই পরে নয় বরং আপাদমস্তক বাঙালি পোশাকে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করেছেন ২০১৯ সালে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ফরাসী অর্থনীতিবিদ এসথার ডুফলো ও তাঁর স্বামী ভারতীয় বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জি।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) স্টকহোমে অনুষ্ঠিত আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে সুইডেনের রাজা ষোড়শ কার্লের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন তাঁরা। এছাড়াও এ বছর এই দম্পতির সাথে একত্রে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন অর্থনীতিবিদ মাইকেল ক্রেমারও।
পুরস্কার ঘোষণার পরপরই দ্যা রয়েল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস বৈশ্বিক দারিদ্র বিমোচনে তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেছিল। প্রতিষ্ঠানটি বলছিল, এই তিনজন অর্থনীতিবিদের গবেষণা দারিদ্র্যের সাথে লড়াইয়ের সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
ফরাসী অর্থনীতিবিদ এসথার ডুফলো বাঙালি নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক শাড়ি-ব্লাউজ পরে পুরস্কার গ্রহণ করেন। তাঁর পরনে ছিল সবুজের শাড়ি ও লাল ব্লাউজ। আর অভিজিত ব্যনার্জির পরনে ছিল ধুতি, পাঞ্জাবি ও কুর্তি।
ফ্রান্সে জন্ম নেয়া ৪৭ বছর বয়সী এসথার ডুফলো বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরুতে ইতিহাস ও অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার আগে জীবনে একাধিক সম্মানসূচক পুরস্কার পেয়েছেন এসথার। অর্থনীতিতে নোবেল জয়ীদের মধ্যে এসথার ডুফলোই সর্বকনিষ্ঠ।
অভিজিৎ ব্যানার্জির সাথে তার লেখা বই ‘পুওর ইকোনমিক্স: এ র্যাডিকাল রিথিঙ্কিং অব দ্য ওয়ে টু ফাইট পোভার্টি’ বিশ্বের ১৭টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জি পড়াশোনা করেছেন ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি পিএইচডি করেছেন ১৯৮৮ সালে। এখন কাজ করছেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, যা এমআইটি নামে বিশ্বে বহুল পরিচিত। সেখানে তিনি ফোর্ড ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল প্রফেসর হিসেবে অর্থনীতি পড়াচ্ছেন।