সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন
পীরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধি :- রংপুরের পীরগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা মানছে না ইব্রাহিমগংরা। ঈদগাহ মাঠকে নানার সম্পদ দাবি করে দখল নিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের চেষ্টা করছে। এ নিয়ে ওই গ্রামবাসীদের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হযেছে। যে কোন মুহুর্তে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন তারা।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চতরা ইউনিয়নের ঘাষিপুর গ্রামে। এলাকাবাসী জানায়,কুয়াতপুর হামিদুর গ্রামের মৃত নিপুছা শেখের ছেলে আব্দুর রহমান ঘাষিপুর মৌজায় তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির ১১৫ দাগে ৩ একর ১৩ শতাংশ জমির মধ্যে ২৬ শতাংশ জমি ঘাষিপুর ঈদগাহ মাঠের নামে দক্ষিণ—পশ্চিম কনারে উল্লেখ করে ওয়াক্ফ দলিল করিয়া দেয়। যাহার দলিল নং ১৯৬০ তারিখ ৩০/১১/১৯৬০। কুয়াতপুর হামিদপুর গ্রামের মৃত নিপুছা সেখের এক কন্যার নিকট হতে ঘাষিপুর গ্রামের নফের উদ্দিন ৪৩ শতাংশ জমি খরিদ করেন।
নফের উদ্দিন ও তার মেয়ে জামাই ছলিমুদ্দিনের বাড়ির সাথে ঈদগাহ মাঠ, অই মাঠে পশু কোরবানিসহ ঈদের নামাজ আদায় করতেন গ্রামবাসী। পশু কোরবানির ময়লার গন্ধ কে কেন্দ্র করে তারা কোরবানি ও নামাজ আদায় করতে গ্রামবাসী কে নিষেধ করে। ঘটনার পর থেকে ৪০ বছর যাবত অই ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় না হলেও ঈদগাহ মাঠ হিসেবেই পরিচিত। মৃত নফের উদ্দিনের নাতি ইব্রাহিম, আব্দুল কাদের, মফেজ্জাল হোসেন, আব্দুল লথিব,আব্দুল হামিদ এবং আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মুকুল মিয়া নানার সম্পদ দাবি করে ২০২২ সালে আদালতে ল্যান্ড সার্ভের মামলা দিয়ে, বলপ্রয়োগ করে উক্ত ঈদগাহ মাঠটি বাঁশের বেড়া দিয়ে দখল করে। ঈদগাহ মাঠের সভাপতি ইজ্জত আলী রংপুর আদালতে এমআর মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নং ৩১২/২৩ ধারা—ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪/১৪৫ ধারার আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।
বিবাদীগন কে থানা পুলিশ আদালতের নোটি প্রেরণ করা সত্ত্বেও জোরপূর্বক অই মাঠে ইটের ঘর নির্মাণ করা চেষ্টা করেন বলে এলাকাবাসী জানান। ঈদগাহ মাঠের সভাপতি ইজ্জত আলী, আলহাজ্ব ইফাজ উদ্দিন, আব্দুর ওহাব আলী, রজ্জব আলী, হবিবর রহমান মন্ডল, সাত্তার মন্ডল, আব্দুর রশিদ চৌকিদার, আব্দুর সামাদ আলী,আব্দুল হামেদ আলী, আইয়ুব আলী,আব্দুল জলিল মিয়া আব্দুল হেলাল মিয়া আব্দুর রাজ্জাক, সাথে কথা হলে তার বলেন, ঈদগাহ মাঠে নামে জমি দলিল হওয়ার ১০ বছর আগ থেকে অই মাঠে নামাজ আদায় করতেন। এছাড়াও জমির মূল মালিক নিপুছা সেখের পরিবারের লোকজন উক্ত মাঠেই নামাজ আদায় করতেন ।
নিপুছা মৃত্যুর পরে তার ছেলে আব্দুর রহমান ১৯৬০ সালে ঈদগাহ মাঠের নামে উক্ত জমিটি দলিল করে দেয়। বর্তমানে দলিল ও মাঠ রেকর্ড ও উক্ত ঈদগাহ মাঠে নামে রয়েছে। তারা উক্ত দলিল কথা বেমালুম অস্বীকার করে ঘর নির্মাণ এ উদ্যোগ নেয়। ফলে ঘর নির্মাণের বিষয়ে ইব্রাহিম মিয়াসহ ৭ ব্যক্তির নামে পীরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে ইব্রাহিম মিয়ার সাথে কথা হলে তারা বলছেন, এই জমিটি তাদের নানার সেই কারনেই তারা ঘর নির্মান করছেন। চতর বিট পুলিশের এএসআই সহিদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আব্দুল্লাহীল বাকী বাবলু
পীরগঞ্জ,রংপুর ()