মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৫১ অপরাহ্ন
আলমগীর হোসেন,ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমার রেলওয়ে স্টেশনের কুলি সর্দার মতিবুল ইসলামকে বাদ দিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে টেন্ডাইল সামসুদ্দিনকে কুলির সর্দার নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বর্তমান দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার আনোয়ারের বিরুদ্ধে। অপরদিকে কুলি সর্দার মতিবুল ইসলামের নামে তৎকালীন বুকিং সহকারীর ক্যাশ হতে টাকা চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে বিভাগীয় বানিজ্যিক কর্মকর্তা পাকশী বরাবর অভিযোগ করেন রেলস্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন এস এম গ্রেড-৩ (চুক্তি)।
আনীত অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে গত বুধবার সকালে ডোমার বাটার মোড়ে রেলস্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলণ করেন কুলি সর্দার মতিবুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে মতিবুল ইসলাম জানান, ২০২২ সালে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মানববন্ধন করা হয়েছিলো। সেই মানববন্ধনের পরিপ্রেক্ষিতে ডি.সি.ও পাকশী এক তদন্তের মাধ্যমে আমাকে মৌখিক ভাবে কাজ না করতে বলেন। কিন্তু স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন কর্মরত টেন্ডাইল সামছুদ্দিন কুলির কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাকে বৈধ কুলি সর্দার হিসেবে বৈধতা দিয়ে আসছেন। সামছুদ্দিনের নামে ডি.সি.ও পাকশী থেকে স্বাক্ষরিত বৈধ কোন কাগজপত্র নাই।
সামছুদ্দিনকে কুলির সর্দার হিসেবে বৈধতা দিতে বর্তমান রেলস্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন আমার নামে তৎকালনি বুকিং সহকারী মাহববুর রহমানের ক্যাশ হতে ৭৩ হাজার টাকা চুরি অভিযোগ এনে পাকশীর বিভিন্ন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। যাহা ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। তিনি বিষয়টি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে তাকে পুনরায় কুলি সর্দার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার দাবী করেন। টাকা চুরির বিষয়ে তৎকালনি ডোমার রেলস্টেশনের বুকিং সহকারী মাহাবুব রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বলেন, আমি যে সময় বুকিং সহকারীর দায়িত্বে ছিলাম সেসময় কোন টাকা চুরি হয়নি।
ডোমার রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন টাকা নিয়ে কুলি সর্দার নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন বলেন মতিবুলের বিরুদ্ধে পাকশী অফিসে লিখিত অভিযোগ দেওয়া আছে। অভিযোগটি বর্তমানে তদন্তধীন।