শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৯ অপরাহ্ন
আলমগীর হোসেন,ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমারে প্রেমিকের বাবার আদালতে দায়ের করা মামলায়, প্রেমিকের বাড়ীতে বিয়ের দাবীতে ৭দিন ধরে অনশনরত প্রেমিকাকে উদ্ধার করে আদালতে হাজির করে থানা পুলিশ। বিজ্ঞ আদালত ওই প্রেমিকাকে তার বাবার জিম্মায় দেয়।
সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে ডোমার থানা এসআই পরিতোষ রায় আদালতের আদেশে উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের পূর্ব হরিণচড়া ফরেস্টপাড়া এলাকার আবু হোসেনের বাড়ী থেকে ওই প্রেমিকাকে উদ্ধার করে। প্রেমিক এইচএসসি পড়ুয়া রাব্বি ইসলাম আবু হোসেনের ছেলে। প্রেমিকা পার্শ্ববর্তী বামুনিয়া ইউনিয়নের জৈনেক এক মাছ ব্যবসায়ীর মেয়ে(১৯)।
ভূক্তভোগী প্রেমিকার বাবা বলেন, হরিণচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাসেল রানার সরল কথায় বিশ্বাস করে আজকে আমার মেয়েকে আদালতে দাঁড়াতে হলো। আদালত থেকে সোমবার (২৮আগস্ট) মেয়েকে আমার জিম্মায় নিয়ে আসি। রাসেল চেয়ারম্যান আমাদের কাছে চেয়ারম্যান ১০লাখ টাকা চায়। টাকা নিয়ে আসলে রাতেই ছেলের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিবে বলে জানান। আমি চেয়ারম্যানকে বলি আপনি উভয় পক্ষকে নিয়ে বসেন। বসলে একটা কিছু হবে বলে জানাই। আমার মেয়েকে ছেলের পরিবারের লোকজন অনেক মারধর করেছে।
বামুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মমিনুর রহমান জানান,প্রেমিকের বাড়ীতে বিয়ের দাবীতে অনশনরত প্রেমিকার বিষয়টি আপোষ মিমাংসার কথা বলে কালক্ষেপণ করে হরিণচড়া ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল রানা। সোমবার সকাল ১১টায় উভয়পক্ষকে নিয়ে থানায় বসার কথা ছিলো। কিন্তু সকালে জানতে পারি মেয়েটি পুলিশ নিয়ে গেছে। আমাদেরকে অপেক্ষায় রেখে রাসেল চেয়ারম্যান ও ছেলের বাবা জোগসাজশে আদালতে মামলা করে।হরিণচড়া ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল রানা তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দুই পরিবারকে নিয়ে স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসা করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ছেলে বাড়ীতে না থাকায় ছেলের বাবা আপোষ না করে আদালতে মামলা করেন।
ডোমার থানা এসআই পরিতোষ রায় জানান, রাব্বির বাবা আবু হোসেনের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ধারা ১০০, দায়ের করা মামলায় আদালতের নির্দেশে সোমবার সকালে ওই প্রেমিকাকে তার প্রেমিকের বসতবাড়ী হতে উদ্ধার করে আদালতে প্রেরন করি। মামলা নং ১২৭ (ডোমার)।