gtbnews
- ২৭ আগস্ট, ২০২৩ / ১৫৩ বার পঠিত
দেওয়ানগঞ্জ জামালপুর প্রতিনিধিঃ জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চর আমখাওয়া ইউনিয়নের সানন্দবাড়িতে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছেন অসহায় দরিদ্র ও ভূমিহীন মোঃ মাজম দম্পতি। দিনের বেলায় একটু স্বস্তি পেলেও সন্তান-সন্ততি নিয়ে ঘর ভেঙে পড়ার ভয়ে রাত কাটে তাদের। ঝড়-বৃষ্টিতে বারবার ঘর উড়ে যায়। খড়কুটো দিয়ে আবারো মেরামত করা হয়। জানতে চাওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা দেওয়া হয় কিনা? বলেন আমরা গরীব মানুষ আমাগো থাকার মত কোন ঘর নাই জমিও নাই।
বছর দশেক আগে পাটা ধোয়া পাড়া গ্রামে নামে মাত্র বাড়ির ভিটা ছিল, সেটাও যমুনার করাল গ্রাসে চলে গেছে। মাত্র একটা বয়স্ক ভাতার নাম আছে। আমার অত্যাধিক অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট রোগ থাকায় বেশি হাঁটতে পারি না। একদিন বাইরে হাত না পাতলে যেন পরিবারসহ উপোস থাকার উপক্রম হয়। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া মাজম বলেন, সরকার নাকি অসহায় ভূমিহীনদের বসতবাড়ি করে দেয় আমাদের তো কিছুই দেয় না। পাশের লম্বা পাড়া গ্রামের বাসিন্দা বাবুল রানা ও এলাকার একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, মোঃ মাজম (৭৫) ও বেগম (৬১) দম্পতি দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চরআমখাওয়া ইউনিয়নের ভূমি অফিস সংলগ্ন সরকারি গোডাউনের মাঠে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করে আসছেন। তার একটি ছেলে চারটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। ঝুপড়ি ঘরও ভগ্নদশা। এ ছাড়া তো তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই।
স্ত্রী বেগম বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী দু’জনই রোগাক্রান্ত। ঝুপড়ি ঘরে আমরা রাতে নিরাপত্তাহীনতায় থাকি। বৃষ্টি ও বর্ষার সময় ঘর দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়ে। তখন বসে রাত কাটে। মানুষের কাছে শুনি সরকার নাকি গরিব মানুষকে ঘর ও চাল দেয়। আমাদের একটা ঘর দিলে উপকৃত হতাম। চরআমখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জিয়া বলেন, সরকারি ঘর বরাদ্দ এলেই আমি তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঘর দেয়ার ব্যবস্থা করব। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুন্নাহার শেফা বলেন, ওই পরিবার যদি ভূমিহীন এবং গৃহীন হয়ে থাকে তাহলে ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
বোরহান উদ্দিন দেওয়ানগঞ্জ জামালপুর