gtbnews
- ১৫ আগস্ট, ২০২৩ / ৮৮ বার পঠিত
সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সোনাতলায় স্বামীর হাতে গৃহবধু খুনের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় নিহত গৃহবধুর পিতা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে নিহত গৃহবধুর শশুর শাশুড়িকে আটক করেছে থানা পুলিশ এবং ঘাতক স্বামী পলাতক রয়েছে।
নিহত গৃহবধুর পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত প্রায় দেড় বছর পূর্বে গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর ইউনিয়নের চামুরপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে তাছলিমা আক্তার তুনাছ এর সাথে সোনাতলা উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের হারিয়াকান্দি (বালুয়াপাড়া) গ্রামের জিন্নাহ বেপারীর ছেলে জহির উদ্দিন বেপারীর ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। সুরু থেকে তাদের সংসার ভালোই চলে আসছিল। পরবর্তীতে গৃহবধূর স্বামী জহির উদ্দিন বেপারী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংসারে অশান্তি করে চলছিল। এর মধ্যেই তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এদিকে সন্তানের বয়স ৬ মাস চলাকালীন সময়ে ওই গৃহবধূ তার স্বামী কর্তৃক রাগারাগি ও মারমুখী অবস্থার স্বীকার হলে সে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু সন্তানের কথা চিন্তা করে ওই গৃহবধূকে আবার স্বামীর সংসারে পাঠিয়ে দেয় তার পরিবারের লোকজন। এরপর কিছুদিন ভালো গেলেও আবারো তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দন্দ কলহ চলতেই থাকে।
কলহের মুল কারণ হিসেবে নিহতের পরিবার জানান, জহির উদ্দিন বেপারী স্ত্রী গৃহবধূ ও তার পরিবারের নিকট যৌতুকের অংশ হিসেবে ঘরের আসবাবপত্র চেয়ে আসছিল। কিন্তু গৃহবধূর পরিবারে অসচ্ছলতা থাকায় সে তার স্বামীর কথায় রাজি হননি। একপর্যায়ে গত ১৩ আগষ্ট রোববার দিবাগত গভীর রাতে স্বামী জহির বেপারী তার স্ত্রী গৃহবধু তাছলিমা আক্তার তুনাছ কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এঘটনায় ওই গৃহবধূ চিৎকার করলে তার শশুর, শাশুড়ি, বড়ো ভাই ভাবি এগিয়ে যায় এবং শয়ন ঘরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই গৃহবধূকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত গৃহবধুর পরিবার আরো বলেন, ভোর সাড়ে চারটার দিকে তাদেরকে জানানো হয় তাদের মেয়ে তাছলিমা আক্তার তুনাছ স্টোক করেছে এবং সে হাসপাতালে রয়েছে। কিন্তু তারা এসে দেখতে পান তাকে হত্যা করা হয়েছে। তারা ওই ঘাতক স্বামী জহির বেপারীর কঠিন শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে রাত অনুঃ আড়াইটার দিকে সোনাতলা থানা পুলিশ এঘটনার সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং লাশ সুরতহালের জন্য বগুড়া মর্গে পাঠায়।
থানার অফিসার ইনচার্জ সৈকত হাসানের সাথে কথা বললে তিনি মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন এঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে ৩ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এতে অভিযুক্ত, গৃহবধূর শশুর শাশুড়িকে আটক করে বগুড়া জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এঘটনায় ঘাতক স্বামী জহির বেপারী পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।