সোনাতলায় পুর্ব শত্রুতার জেরে অতর্কিত হামলা ও মারপিটে একজন গুরুতর আহত- থানায় অভিযোগ

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সোনাতলায় পুর্ব শত্রুতার জেরধরে অতর্কিত হামলা ও মারপিটের ঘটনায় নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি গুরুত্বর আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৩ আগষ্ট রোববার দুপুরে সোনাতলা পৌরসভার নতুন বন্দর (ঘোড়াপির) এলাকায়। এঘটনায় নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে ৭ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। নুরুল ইসলাম এলাকার মৃত কাশেম ফকিরের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সোনাতলা পৌরসভাস্থ নতুন বন্দর (ঘোড়াপির) এলাকার মৃত কাশেম ফকিরের ছেলে মোঃ নুরুল ইসলাম ও তার পরিবারের সাথে একই এলাকার মনজু আলম এর ছেলে অর্নব, শাহাদাত হোসেন ভুট্টার স্ত্রী ও ছেলে স্নেহ, মৃত আবুল কাশেম এর ছেলে জাকির হোসেন, মৃত আবুল কাশেম বেপারীর দুই ছেলে রেজাউল ও হাবিজার রহমান, হাবিজার রহমান এর ছেলে সিজার হোসেন পুর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রায় সময় বিরোধ করে আসছিল। এছাড়াও উল্লেখিত প্রতিপক্ষরা কোন কারন ছাড়াই নুরুল ইসলাম ও তার পরিবারের সাথে খুব খারাপ আচরনসহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করে থাকে। এতেকরে নুরুল ইসলাম তাদেরকে এধরনের কার্যকালাপ করতে নিষেধ করলে প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা ও মারধরের হুমকি প্রদান করে থাকে।

এমতাবস্থায় ১৩ আগষ্ট রোববার দুপুরে প্রতিপক্ষরা কোন প্রকার কারন ছারা ঘোরাপীর মসজিদ সংলগ্ন নুরুল ইসলামের দোকানে এসে তাকে খুব খারাপ ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। এসময় নুরুল ইসলাম তাদের কাছে অজাথা গালাগাল করার কারন জানতে চাইলে উপরোক্ত উল্লেখিত প্রতিপক্ষরা নুরুল ইসলামকে মারার জন্য অতর্কিত ভাবে আক্রমন করে এবং অর্নব তার হাতে থাকা সাইকেল এর চেইন দিয়ে নুরুল ইসলামের মাথাসহ শরিরের বিভিন্ন স্থানে স্বজোরে আঘাত করতে থাকে।

এরপর স্নেহ সহ উল্লেখিত অভিযুক্ত সকলেই হাতে থাকা লোহার রড, কাঠের বাটাম ও লাঠি দিয়ে নুরুল ইসলামের মাথায় এলোপাথারী ভাবে মারধর করে গুরুতর জখম করে। একপর্যায়ে নুরুল ইসলাম জীবন রক্ষার্থে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে যায়। এসময় হামলাকারীরা নুরুল ইসলাম ও তার পরিবারকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায় বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

এদিকে নুরুল ইসলামের পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নিকটস্থ সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক নুরুল ইসলামের অবস্থা গুরুতর দেখলে তাকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক)হাসপাতালে প্রেরন করেন। বর্তমানে নুরুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এঘটনায় থানার অফিসার ইনচার্জ সৈকত হাসানের সাথে কথা বললে তিনি অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।