রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন

নেত্রকোনায় আব্দুর রাশিদের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন। 

বিজয় চন্দ্র দাস,নেত্রকোনা প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক মোঃ আবদুর রাশিদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তাঁকে এ ডিগ্রি দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড.মুহাম্মদ আনিসুর রহমান (আনু মুহাম্মদ) এর তত্বাবধানে সম্পাদিত ‘‘বাংলাদেশের আদিবাসী গারো ও হাজংদের অর্থনীতির রুপান্তর’’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। 

রবিবার (১৬জুলাই) স্থানীয় সাংবাদিকদের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ভাবে উপস্থাপন করেন প্রভাষক মো.আবদুর রাশিদ। এ বিষয়ে সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ (ভার:) মোঃ আইনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সহকর্মী আব্দুর রাশিদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে  ‘‘বাংলাদেশের আদিবাসী জনগোষ্ঠী গারো ও হাজংদের অর্থনীতির রুপান্তর’’ শিরোনামে শিক্ষা ও গবেষণা জীবনে যে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন, তা অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও দুর্গাপুরবাসীকে নিঃসন্দেহে গর্বিত করেছে।’

এ নিয়ে মোঃ আবদুর রাশিদ বলেন, ‘আমি প্রথমেই মহান আল্লাহর প্রতি কৃতঞ্জতা জানাই। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ভূখন্ড হলেও ৪৫টি আদিবাসী জনগোষ্ঠী বসবাস করে এখানে। বৃহত্তর ময়মনসিংহের বিভিন্ন অঞ্চলে ৬টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস। তার মধ্যে আমার গবেষণা অভিসন্দর্ভে গারো ও হাজংদের নিয়ে বিশেষভাবে আলোকপাত করেছি।

 তাঁদের অর্থনৈতিক কার্যাবলি প্রত্যক্ষ করতে গিয়ে দেখেছি বহুবিধ সমস্যা। একটা সময় এই আদিবাসীদের অর্থনীতি ছিল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সমতল ভূখন্ড এবং টিলা/পাহাড় কেন্দ্রিক অপরিকল্পিত কৃষি ও বনজসম্পদ (বিশেষত কাঠ) নির্ভর। সময়ের স্রোতে তারা হারিয়েছে তাদের কৃষি ভূমি, টিলা ও পাহাড়ে বসবাসের আবাস। এসবের হেতুরুপে দেখা গেছে তাঁদের সরলতা, অপরাপর জাতিগোষ্ঠী কর্তৃক শোষণ এবং নিজেদের অধিকার সচেতনতাহীনতা। যার ফলে তাঁদের আর্থিক পরিস্থিতি আজ বিপর্যস্ত, উপরন্থ ক্রমোবনতিশীল। 
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে আমার অভিসন্দর্ভে গবেষণাকৃত প্রস্তাবনা, পরিকল্পনা ও অন্যান্য বিষয়াদি ভবিষ্যতে তাঁদেরকে লক্ষ্য রেখে নতুন গবেষক, এনজিওকর্মী এবং সর্বোপরি ক্ষুন্দ্র নৃ-গোষ্ঠীভিত্তিক সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আদিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এ ডিগ্রি অর্জনে তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এবং সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।’

উল্লেখ্য, মো. আব্দুর রাশিদ দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের পাথারিয়া গ্রামের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম মুহম্মদ নাসির উদ্দিন সরকারের চতুর্থপুত্র। তিনি বর্তমানে সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক। তিনি গবেষনার পাশাপাশি সমাজের সকল উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড, সভা-সেমিনার, সামাজিক সাংস্কৃতিক সকল কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করে থাকেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335