শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১৬ অপরাহ্ন

প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে সৈয়দপুর বিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র।

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি মো: মাসুদুর রহমান। জনবলের সংকট, প্রচার প্রচারনা নেই বললেই চলে।
সৈয়দপুর শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্থাপন করা হয়েছিল সৈয়দপুর বিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র। কিন্তু প্রচার-প্রচারণা আর জনবল সংকটে মুখ থুবড়ে পড়েছে এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কার্যক্রম। রোগী না থাকায় অলস সময় পার করতে হচ্ছে কেন্দ্রে থাকা এক চিকিৎসকসহ দুই কর্মচারীর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শৈশব ও কৈশরকালীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, পুষ্টি বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি, ছয় মাস পর পর কৃমিনাশক ওষুধ সেবনসহ সব ধরনের স্বাস্থ্য বিষয়ক সেবা দেওয়ার জন্য প্রায় ৪০ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করা হয় এই সৈয়দপুর বিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র। প্রতিষ্ঠার পর কয়েক বছর এর কার্যক্রম ভালোভাবে চললেও বর্তমানে তা স্থবির হয়ে পড়েছে। কাগজে কলমে প্রতিদিন ১০-১২ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসাসেবা নিলেও বাস্তবে জনমানব শূন্য থাকে কেন্দ্রটি।
এদিকে কেন্দ্রটিতে দুইজন স্থায়ী চিকিৎসকসহ ৬ জনের জনবল কাঠামো থাকলেও তা দীর্ঘদিন থেকে খালি। বর্তমানে একজন চিকিৎসক, একজন ফার্মাসিস্ট ও অফিস সহায়কসহ মোট ৩ জন কর্মরত আছেন।
এছাড়াও নীলফামারীর এই সৈয়দপুর শহরে প্রাথমিক, নিম্ন-মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক মিলে ১২৯টি বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের প্রায় ৫০ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর অধিকাংশই জানেন না এই বিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র সম্পর্কে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা জানান, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটি সম্পর্কে বেশি প্রচার-প্রচারণা করলে শিক্ষার্থীরা সহজে সেবা নিতে পারবে।
সৈয়দপুর বিজ্ঞান সরকারি কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী  বলেন, আমাদের জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে আমরা এই বিষয়ে জানি না। জানলে আমরা সেবা নিতে পারতাম। আমাদের বিভিন্ন সময়ে বাইরে ডাক্তার দেখাতে হয় অতিরিক্ত টাকা খরচ করে, এখানে সেবা পেলে কিংবা সরকারি ঔষধ পেলে আমরা অনেকটা খরচ বেঁচে যেতাম। শিক্ষার্থীদের জন্য সরকার যে এরকম একটা সুব্যবস্থা রেখেছে এটা যেন আমরা প্রথম জানলাম।
সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের সৈয়দপুরকে বলা শিক্ষানগরী। কারণ এখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছেলেমেয়েরা এসে লেখাপড়া করছে। অনেকে হোস্টেলে বসবাস করছে, গার্জিয়ানদের কাছ থেকে দূরে আছে।
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেলে এ ধরনের সুব্যবস্থা থাকলে, আমরা সেখানে চিকিৎসার জন্য সহজেই যেতে পারতাম। অথচ প্রচার প্রচারণা না থাকার কারণে আমরা এ ব্যাপারে জানতাম না। তারা বলেন এ ব্যাপারে পোস্টার ছাপিয়ে প্রচার করতে পারে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থাই নেয়নি। অথবা এসেম্বলিতে এসে স্কুলের শিক্ষার্থীদের জানাতে পারে ।এ বিষয়ে সৈয়দপুর বিদ্যালয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার রুবাইয়া বিনতে ওয়াহেদ বলেন আমি সেবা প্রদানের পাশাপাশি স্কুলে গিয়ে প্রচার চালাচ্ছি। যাতে এখানে শিক্ষার্থীরা সেবা নিতে আসে, আমরা সেবা প্রদান করছি। সিভিল সার্জন ডা: হাসিবুর রহমান বলেন বিদ্যালয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্থায়ী চিকিৎসকদের পদ শূন্য থাকার কারনে একজন মহিলা চিকিৎসক দিয়ে চালানো হচ্ছে। স্থায়ীভাবে ডাক্তার নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। খুব দ্রুত স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে জনবল নিয়োগসহ প্রচার- প্রচারণা আরো বাড়ানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335