মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: পশুর কাঁচা চামড়া বেচাকেনার একশ বছরের পুরনো আড়ত রাজধানীর লালবাগের পোস্তা। যেখানে বছরজুড়েই চলে বেচাকেনা। তবে কোরবানির ঈদ ঘিরে থাকে বড় আয়োজন। ঈদের দিন দুপুরের পর থেকেই কোরবানির পশুর চামড়া আসতে শুরু করে এখানে। এখান থেকে ১১০ কোটি টাকার কাঁচা চামড়া বাকি নিয়ে গেছে ট্যানারির মালিকেরা। যা এখনো সুরাহা হয়নি।
২০১৪-১৫ সালে পোস্তায় মোট ২০৭টা আড়ত ছিল। এখন এটা কমতে কমতে ৬০টায় দাঁড়িয়েছে। পাওনা টাকা না পাওয়া, করোনায় ও বৈশ্বিক মন্দায় ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছে অনেকে। কেউ কেউ আবার সাভার ট্যানারির পাশে চলে গেছে। তারপরও ১ লাখ চামড়া কেনা হবে। এরই মধ্যেই টার্গেটের ৭০ শতাংশ পূরণ হয়ে গেছে।
পোস্তার কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো.আফতাব খান বলেন, ২০১৪-১৫ সাল থেকে ট্যানারির মালিকের কাছে আমরা ১১০ কোটি টাকা পায়। যা এখন সুরাহা হয়নি। এ সময়ও পোস্তায় মোট ২০৭টা আড়ত ছিল। এখন এটা কমতে কমতে ৬০টায় দাঁড়িয়েছে। অনেকে করোনায় ও বৈশ্বিক মন্দায় ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছে। কেউ কেউ আবার সাভার ট্যানারির পাশে চলে গেছে। কিছু কিছু ট্যানারি আমাদের কাছ থেকে চামড়া কেনে কিন্তু টাকা দেয় না। তারা আমাদের পাওনা দিলে ভালো হতো। সামনে ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করবো।
তবে পোস্তার আড়তদারদের দাবি উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহমেদ বলেন, পোস্তার আড়তদারদের পাওনার ইস্যু পুরোনো। ২০১৯ সালে এটা সমাধান হয়ে গেছে। যারা এখন নতুন করে টাকা পাওনার দাবি করে তারা আসলে কাঁচা চামড়ার দাম কমাতে চায়, বাজার অস্থিতিশীল করতে চায়।
কোরবানি শেষে রাজধানীর পোস্তার আড়তগুলোয় নেওয়া হচ্ছে কাঁচা চামড়া। আড়তদাররা জানালেন, এ বছর সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ পিস। তবে এবার বৃষ্টির কারণে ১০ শতাংশ কাঁচা চামড়া নষ্ট হওয়ার আশংকা তাদের। এদিকে কাঁচা চামড়ার ন্যায্য দাম পাচ্ছে না বলে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ থাকলেও আড়ত মালিকরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত দামেই বিকিকিনি চলছে।
ঈদের দিতীয় দিন শুক্রবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচা চামড়া বেচাকেনা ও সংরক্ষণের কাজ চলছে। ন্যায্য দাম পাওয়া না পাওয়া নিয়ে চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।
এ বছর কোরবানির ঈদ ঘিরে কাঁচা চামড়া সংগ্রহের যে লক্ষ্যমাত্রা, তা অর্জন সম্ভব বলে জানালেন আড়ত মালিকরা। ঈদের দিন বিকেলের মধ্যে বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় মানসম্মত চামড়া সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ ভালো হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।