বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন

ভূমিকম্প কেন হয়?

লাইফস্টাইল ডেস্ক : রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত হয় শুক্রবার (৫ মে) সকাল ৫টা ৫৭ মিনিট ৮ সেকেন্ডে। রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এর তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার দোহার উপজেলায়, ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।

ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছে, এমন মত বিশেষজ্ঞদের। আবহাওয়াবিদদের মতে, ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া খুব জটিল বিষয়।

কোনো নির্দিষ্ট ভূমিকম্পকে সরাসরি নির্ণয় করা যায় না। ভূমিকম্পবিষয়ক দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য সরকারের সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা থাকাটা অত্যন্ত জরুরি।

ভূমিকম্প কী কেন হয়?

ভূমিকম্প হচ্ছে ভূমির কম্পন। ভূ অভ্যন্তরে যখন একটি শিলা অন্য একটি শিলার উপরে উঠে আসে তখন ভূমি কম্পন হয়। পৃথিবীপৃষ্ঠের অংশ বিশেষের হঠাৎ অবস্থান পরিবর্তন বা আন্দোলনই ভূমিকম্পন।

গবেষকদের মতে, বিশ্বে বছরে গড়ে ছয় হাজার ভূমিকম্প হয়। এগুলোর বেশিরভাগই মৃদু, যা আমরা টের পাই না। সাধারণত তিন ধরনের ভূমিকম্প হয়- প্রচণ্ড, মাঝারি ও মৃদু।

আবার উৎসের গভীরতা অনুসারে ভূমিকম্পকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়- অগভীর, মধ্যবর্তী ও গভীর ভূমিকম্প।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ভূ-পৃষ্ঠের ৭০ কিলোমিটারের মধ্যে হলে অগভীর।

আর ৭০ থেকে ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে হলে মধ্যবর্তী ও ৩০০ কিলোমিটারের নিচে হলে তাকে গভীর ভূমিকম্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

ভূ অভ্যন্তরে স্থিত গ্যাস যখন ভূ পৃষ্ঠের ফাটল বা আগ্নেয়গিরির মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে তখন ওই গ্যাসের অবস্থান ফাঁকা হয়ে পড়ে।

পরবর্তী সময়ে পৃথিবীর উপরের তলের চাপ ওই ফাঁকা স্থান দখল করে নেয়। এক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় না থাকায় ভূ-পৃষ্ঠে প্রবল কম্পনের অনুভব হয় যা ভূমিকম্প নামে পরিচিত।

সাধারণত তিনটি প্রধান কারণে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়- ভূ পৃষ্ঠের হঠাৎ পরিবর্তন, আগ্নেয়গিরি সংঘটিত হওয়ার কারণে ও শিলাচ্যুতিজনিত কারণে।

ভূমিকম্পের স্থায়িত্ব সাধারণত কয়েক সেকেন্ড হলেও এর মধ্যেই ঘটে যেতে পারে বিরাট অঘটন। যেমনটি ঘটেছে তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পের ঘটনায়।

ভূমিকম্প কীভাবে পরিমাপ করা হয়?

ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ণয়ের জন্য যে যন্ত্র ব্যবহৃত হয় তার নাম রিখটার স্কেল। রিখটার স্কেলে এককের সীমা ১ থেকে ১০ পর্যন্ত। এই স্কেলে মাত্রা ৫ এর বেশি হওয়া মানেই ভয়াবহ দুর্যোগের আশঙ্কা।

ভূমিকম্প এক ডিগ্রি বাড়লে এর মাত্রা ১০-৩২ গুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৫ থেকে ৫ দশমিক ৯৯ মাঝারি, ৬ থেকে ৬ দশমিক ৯৯ তীব্র, ৭ থেকে ৭ দশমিক ৯৯ ভয়াবহ ও ৮ এর উপর অত্যন্ত ভয়াবহ।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335