বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ১০:৩২ পূর্বাহ্ন
আলমগীর হোসেন,ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমারে আখ চাষে স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে অধিক লাভের আশায় আখের চারা রোপন করেন উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের চাষীরা। এ অঞ্চলে দেশী, হাইব্রিড, গেন্ডারি, ফিলিপাইনের ব্লাক জাতের চিবিয়ে খাওয়ার আখ চাষ হয়ে থাকে। আখ ১বছর মেয়াদী ফসল। কৃষি অফিসের তথ্যমতে গত বছরে ১২ হেক্টর জমিতে আখ চাষ করা হয়। এবার ডোমার উপজেলায় ১৩হেক্টর জমিতে আখের চাষ করা হয়েছে। যাহা গত বছরের তুলনায় ১ হেক্টর জমিতে বেশী চাষ করা হয়েছে। এই এলাকার আখ দেশের বিভিন্ন জেলার আখ ব্যবসায়ীরা নিয়ে যান। জমিতে পাইকারী দামে বিক্রি করেন চাষীরা। অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন আখের চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে ডোমারে। অপর দিকে একই জমিতে আখের সাথে চাষিরা সাথী ফসল হিসেবে আলু, মিষ্টি কুমড়া, কপি, মরিচ, শাকসবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। আখ চাষীদের মধ্যে বিভিন্ন প্রনোদনা, নতুন নতুন জাতের চারা, রোগ বালাই দমনে পরামর্শ দেন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউ ঈশ^রদী,পাবনা অফিসের কর্মকর্তারা।
আখ চাষী আনিছুর রহমান বলেন, আমি গত বছর দেড় বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছি। ভালো লাভ হওয়ায় এবার দুই বিঘা জমিতে আখ চাষ করি। জমিতে চারা লাগানোর তিন মাস হয়েছে। আখের ভালো ফলন হলে এবার দুই বিঘা জমিতে খরচ বাদ দিয়ে ২ লক্ষ টাকা আসবে বলে আশা করছি। আখের ভিতরে লালচে এক ধরনের রোগের আক্রমন হয়। এ রোগ দমনের জন্য তিনবার স্প্রে করেছি।
আখ চাষী গোপাল রায় জানান, তিনি আখের সাথে আলু ও মিষ্টি কুমড়া চাষাবাদ করেছেন। আলু তুলে ফেলার পর এখন মিষ্টি কুমড়া জমিতে আছে।
ডোমার কৃষি অফিস সুত্রে জানাযায়, এবার উপজেলায় ১৩ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। যাহা গত বছরের তুলনায় ১ হেক্টর জমিতে বেশী চাষাবাদ করা হয়েছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, আখ চাষে চাষীদের সরকারী ভাবে প্রনোদনা দেন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউ ঈশ্বরদী। তবে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে চাষীদের রোগ বালাই দমনে পরামর্শ প্রদান করা হয়।