শনিবার, ১০ Jun ২০২৩, ০২:৩৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ফরিদপুর সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণে ইভিএমে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। এতে ভোটাররা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকাল থেকেই বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের সামনে ভোটারদের দীর্ঘলাইন দেখা গেছে। পুরুষের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক নারী ভোটাররাও এসেছেন ভোট দিতে। প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটারদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়।
সকাল সাড়ে ৮টায় ইভিএম মেশিনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের ঈশান ইনস্টিটিউট কেন্দ্রের নারীদের ৪ নম্বর কক্ষে ভোট পড়েছে ৪৮টি। এখানে মোট ভোটার ৩৬৩ জন।
চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের গোলাপবাগ কেন্দ্র, নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের পদ্মারচর উচ্চ বিদ্যালয়, ডিক্রিরচরে আইজুদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, শিবরামপুর ডি কে একাডেমি, রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়সহ অন্য কেন্দ্রে উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। এসব কেন্দ্রেও ভোটগ্রহণে ধীরগতির খবর পাওয়া গেছে।
খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা আছিয়া বেগম বলেন, প্রায় দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। ভোটগ্রহণে ধীরগতি। গরমে কাহিল হয়ে যাচ্ছি। লাইনের সামনে আরও ৫০ জন আছে। কখন যে ভোট দেবো সে অপেক্ষায় আছি।
মাচ্চর ইউনিয়নের খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এ কেন্দ্রে মোট ২ হাজার ৪৮৩ ভোটার আছেন। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে ৩২ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে। তবে নারী ভোটাররা ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে একটু দেরি করছেন।
এদিকে, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সবধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ফরিদপুরের ১১টি ইউনিয়নে ১৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুই প্লাটুন বিজিবি ছাড়াও বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এসব ইউনিয়নে ৬৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ৩৩৮ জন সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী ও ১১৩ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনে ১০৩টি ভোটকেন্দ্র ও দুই লাখ ৩৩ হাজার ২৯জন ভোটার আছেন।