বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণীয় গন্তব্য: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ এখন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ীদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের সময়োপযোগী উদার বাণিজ্যনীতি এবং সমন্বিত নীতি কৌশল যথাযথভাবে বাস্তবায়নের ফলে এটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটেও দেশের উৎপাদনশীলতা এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের জনগণকে জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে উদ্বুদ্ধ করে নিরাপদ জ্বালানির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছি।

বুধবার (১৫ মার্চ) ‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও ১৫ মার্চ ‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২৩’ পালন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ উপলক্ষে তিনি দেশবাসীসহ বিশ্বের সব ভোক্তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, এবারের প্রতিপাদ্য- ‘নিরাপদ জ্বালানি, ভোক্তাবান্ধব পৃথিবী’ যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।

দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি খাতকে আধুনিক ও ডিজিটালাইজড করার জন্য সর্বাত্মক কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। গ্যাস সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার, গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক অর্থনৈতিক অবকাঠামোকে সুসংহত রূপদান করতে চায় সরকার। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব ও অন্যান্য বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার এবং জ্বালানির অপচয় রোধ করে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, আমাদের সরকার ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯’ প্রণয়ন করেছে। পাশাপাশি আইনের সফল বাস্তবায়নের জন্য ২০১০ সালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়। অধিদপ্তরটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, ভোক্তা অধিকার বিরোধী কাজ প্রতিরোধ এবং ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনজনিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ভোক্তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ নকল ও ভেজাল রোধে অধিদপ্তর নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী নিজের অধিকার সম্পর্কে সবাইকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য সব ব্যবসায়ী ও ভোক্তার প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিষ্ঠার সঙ্গে যথাযথ ভূমিকা রাখবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন- ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। জাতির পিতার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিশ্ব দরবারে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্বীকৃতি লাভ আওয়ামী লীগ সরকারের যুগান্তকারী অর্জন।

তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, মেট্রোরেলসহ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন বৈদেশিক বিনিয়োগ ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি। এর ধারাবাহিকতায় আমরা বাংলাদেশকে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশের কাতারে উন্নীত করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ।

সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি ‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335