শনিবার, ১০ Jun ২০২৩, ১২:৩২ অপরাহ্ন

নিত্যপণ্যের দামের ভারে বিসিক মেলায় ভাটা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রংপুরে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) উদ্যোক্তা মেলায় বিক্রিতে ভাটা পড়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার কমে এসেছে বিক্রির পরিমাণ। সেইসঙ্গে কমেছে ক্রেতাদের উপস্থিতিও। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে এবারের মেলায়, এমটাই মনে করছেন উদ্যোক্তারা।

৫ মার্চ থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রচার-প্রসার ও বাজারজাতকরণে রংপুর নগরীর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে ১৩ দিনব্যাপী এ মেলা শুরু হয়। মেলায় পাটজাত পণ্য, শতরঞ্জী, চামড়াজাত পণ্য, চারু ও কারুশিল্প, হস্তশিল্প, বাচ্চাদের খেলনা, প্রসাধনী, রকমারি খাবারসহ বিভিন্ন ধরনের ৫৫টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চলছে এ মেলা।

পিঠা পুলির দোকান ‘ইচ্ছে পূরণ’র বিক্রেতা সাকিব হাসান জানান, এবারের মেলায় দৈনিক গড়ে এক থেকে দেড় হাজার টাকার বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত কয়েক বছর দৈনিক গড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার বিক্রি হতো।

‘মোক্তার মধু ভান্ডার’র বিক্রেতা মোক্তার হোসেন বলেন, আগে ৮-১০ হাজার টাকার বিক্রি হলেও এবার এক থেকে দেড় হাজার টাকার বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে এবারের মেলায়। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা সীমিত হয়ে এসেছে। যেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে সেখানে বাড়তি জিনিস কীভাবে কিনবে?

‘কারুনীড়’র মনিরা সুলতানা বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার বিক্রির পরিমাণ অনেক কম। এছাড়া মেলায় যে স্টল সাজানো হয়েছে তার আউটলুকিং ভালো হয়নি। প্রচার-প্রচারণাও তেমন একটা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, পাশে বইমেলা হচ্ছে। অনেকে বইমেলায় এসে এদিকটায় একটু ঘুরে যাচ্ছেন। কেনাকাটায় প্রভাব পড়ছে না।

সহপাঠীদের সঙ্গে মেলায় এসেছেন কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী তামান্না তাবাসসুম। তিনি বলেন, মেলায় কিছু কিনবো সে ইচ্ছা নিয়ে আসিনি। ঘুরে দেখছি। কিছু পছন্দ হলে ভেবে চিন্তে দেখবো।

রংপুর বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক শামীম হোসেন বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রচার-প্রসার ও বাজারজাতকরণের পাশাপাশি নিজেদেরকে ব্র্যান্ডিংয়ের সুযোগ তৈরির জন্য প্রতি বছরের মতো এবারও মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এবারের এই মেলার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর নিজেদের পণ্য বিক্রির সুযোগ তৈরির জন্য তাদেরকে একটা স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রংপুর জেলার উদ্যোক্তাদের সঙ্গে অন্য জেলার উদ্যোক্তাদের যে যোগাযোগের সুযোগ সেটা এই মেলার মাধ্যমে তারা পাচ্ছেন।

শামীম হোসেন আরও বলেন, জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশে এই মেলা বাস্তবায়ন হচ্ছে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আগামী দিনগুলোতে এই মেলা আরও জমজমাট হবে বলে আশা করছি।

রংপুর বিসিকের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মেলা আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335