শনিবার, ১০ Jun ২০২৩, ০২:২১ অপরাহ্ন
রাকিব হোসেন সোহেল লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার আওতাধীন ১১ নং হাজীর পাড়া ইউনিয়নের চরচামিতা গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের মিঞা বাড়ীর চলাচলের রাস্তা বাধা দেওয়ার বিরুদ্ধে ২০০টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে শুক্রবার ১১ ই মার্চ সকাল ১০ টার সময় মানববন্ধন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।সন্ত্রাসী সায়েম মিঞা নামে তাদের এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।সায়েম মিঞর বিরুদ্ধে রাস্তাটি বাধা দেওয়ার অভিযোগ সত্যতা পাওয়া গেছে।এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন অভিযোগ কারী মশিউর রহমান মিঞা,শিমুল মিঞা,লাতু মিঞা,দুলাল মিঞা, বেলায়েত মিঞা, শামিম মিঞা,রতন মিঞা, মিলন, মিঞা,ফয়জল মিঞা,সাহাব মিঞা, এডভোকেট মিঞা মোঃ বোরহান উদ্দিন বিটু, সহ আরও অনেকে।রাস্তাটি বন্ধ করায় পরিবারগুলো দীর্ঘদিন ধরে চলাচলে বিড়ম্বনায় পড়েছে। ১১ই মার্চ শুক্রবার সকালে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চলাচলের একটি মাটির কাঁচা রাস্তা ইট দিয়ে করা চলিং রাস্তাটির মধ্যে নতুন ইট রট সিমেন্ট ও বালু দিয়ে করা বহুতল ভবনের নির্মাণ ঘর করে রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।এতে পুরো রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেছে মানুষের চলাচল ।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, পুরো রাস্তাটির দৈর্ঘ্য ছিল ৫০০ ফুট ও প্রস্থ ৫ফুট।১০০শ, বছর ধরে ওই সব পূর্ব পুরুষের পরিবার গণ এই রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করত, এবং বর্তমানও চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।হঠাৎ গত ২০২১ সালে প্রতিবেশী সায়েম মিঞা রাস্তাটিতে একটি বহুতল ভবন ঘর নির্মাণ করেন।পরিবারগুলো বাধা দিতে গেলে তিনি রাস্তার মধ্যে আড়া আড়ি ভাবে আরও একটি বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেন চলাচলের রাস্তা।বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় ২০০টি পরিবারের সদস্যরা বেকায়দায় পড়েছেন।অবরুদ্ধ একটি পরিবারের সদস্য মশিউর রহমান বলেন,২০০টি পরিবারের সদস্যরা লক্ষ্মীপুর ও ঢাকার শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরকারী ও বেসরকারি চাকরি করেন।সে কারণে সবাই তাদের পূর্ব পুরুষের ওয়ারিশী জমিতে বসবাস করছেন সৃতি হিসাবে।সবাই শান্তিপ্রিয় মানুষ।যে ব্যক্তি রাস্তাটি বন্ধ করেছেন, তিনি একজন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি বলে নিজেকে পরিচয় দেন এবং কি বিএনপির টাইগার ফারুক সন্রাস গডফাদার নামে একব্যক্তি ডান হাত বাম হাত বলে মানুষের কাছে পরিচয় দেয় ।
১০০শ, বছর ধরে ওই রাস্তাটি দিয়ে পরিবারগুলো চলাচল করছে।হঠাৎ করে সায়েম মিয়া তাঁর কিনা জমি দাবি করে রাস্তাটি দখল করে নেন। রাস্তার মধ্যে প্রায় ৩ ফুট ভিতরে ঘর নির্মাণ করেছেন।দীর্ঘদিন ধরে চলাচলে আমরা বেকায়দার মধ্যে রয়েছি।রাস্তাটি ছেড়ে দিতে সায়েম মিয়া প্রথমে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। অনেকটা বাধ্য হয়ে ৫ লাখ টাকা দিতে রাজি হলে, এখন তিনি ১০ লাখ টাকা দাবি করেন।এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।অবরুদ্ধ পরিবারের আরেক সদস্য শিমুল মিয়া বলেন, রাস্তার মধ্য দিয়ে ২০০টি পরিবারের ৪০বছরের মধ্যে রাস্তার জায়গাটি সায়েম মিয়া তাঁর বলে দাবি করেননি।হঠাৎ তিনি রাস্তা বন্ধ করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছেন।বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরের অনেকের কাছে গিয়ে অভিযোগ দিলে পরে সায়েম মিঞা কে বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তর থেকে নিষেধ করা হলেও সায়েম মিঞা আইনের তোয়াক্কা না করে নিজের মর্জি মতো ২০০শ,টি পরিবারের দিকে না তাকিয়ে তার বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করেন চলাচলের রাস্তার উপরে।বর্তমানে সায়েম মিঞা পরিবারের ব্যবহার করা বাথরুম ও টয়লেট এবং রান্না কাজে ব্যবহারের ময়লা আবর্জনার পরিবেশ দুষিত পানি পড়ে জন সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা পরিবেশ নষ্ট হতে দেখা যাচ্ছে, এছাড়াও আরো দেখা যায় আশেপাশের এলাকার মানুষ বসবাস করা অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।এ নিয়ে এলাকায় কয়েকটি সালিস বৈঠক হয়।সেখানেও সায়েম মিঞা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে।বলেন, ‘পুরো এলাকার বেশির ভাগ জমি আমাদের ছিল।
ওই সব পরিবার যেসব জমি কিনেছে, সেগুলোও আমাদের বাপ-চাচার ছিল।এদিকে অভিযুক্ত সায়েম মিঞা সেই লিখিত কোনো প্রমাণ আছে বলে সাংবাদিক মিডিয়াদের কাছে প্রমাণ করতে পারেননি, এবং সাংবাদিক মিডিয়ার ক্যামেরায় ভিডিও বক্তব্য দিতে বলিলে তিনি অনিহা প্রকাশ করেন।মাসুম ও লাতু মিয়া বলেন, পুরো বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত রাস্তাটি বন্ধ না করতে সায়েম মিয়াকে বলা হয়েছিল।কিন্তু তিনি শোনেননি।তবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে আজ আমাদের এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।আমরা দেশবাসীর কাছে আপনাদের সোশ্যাল মিডিয়া ও লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মহোদয় এবং বাংলাদেশে যত মানবাধিকার কমিশন সংস্থা রয়েছে সকল সংগঠনের কাছে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সরকারের কাছে উপযুক্ত বিচার দাবী জানাচ্ছি।একই সাথে জানাচ্ছি নির্বাহী অফিসার ও এসিল্যান্ড মহোদয় কে আমরা ১১ নং হাজীর পাড়া ইউনিয়নের চরচামিতা গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের মিয়া বাড়ীর বাসিন্দা ২০০টি পরিবারের সদস্য গণেরা।অতিদ্রুত সন্ত্রাসী সায়েম মিয়ার অবৈধভাবে বহুতল ভবনের নির্মাণ করা ঘরটি ভেঙ্গে ২০০টি পরিবারের চলাচলের রাস্তার সু-ব্যবস্থা করা একান্ত আবশ্যক।