শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন

ফুলপরীর নিরাপত্তা ও পছন্দের হলে সিট দিতে চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্যাতনের শিকার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনের নিরাপত্তার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১ মার্চ) হাইকোর্টের নির্দেশনার পর বিকেলে এ চিঠি ইস্যু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আলী হাসান স্বাক্ষরিত চিঠি কুষ্টিয়া ও পাবনার পুলিশ সুপার বরাবর প্রেরণ করা হয়। এতে ফুলপরীর পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয় বলে জানা গেছে।

এদিকে আরেকটি চিঠিতে ভুক্তভোগী ফুলপরীকে তার পছন্দমতো আবাসিক হলে সিট দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এর আগে ফুলপরী খাতুনের ওপর নির্যাতনের সত্যতা খুঁজে পায় তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে বেশকিছু নির্দেশনা দেন হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। আগামী ৮ মে’র মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়।

পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় হাইকোর্টের আদেশসমূহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। বুধবার দুপুরেই ঘটনাস্থল দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করা হয়।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুদফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফুলপরীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুমসহ আরও সাত-আট জন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।

ঘটনা তদন্তে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া ১৫ ফেব্রুয়ারি আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করে শাখা ছাত্রলীগ।

এ ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন ও আজগর হোসেন তুহিন। তখন তাদের লিখিত আবেদন দিতে বলেন আদালত। সে অনুসারে তারা জনস্বার্থে রিট করেন।

১৬ ফেব্রুয়ারি রিটের শুনানি শেষে একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও একজন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তার সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এছাড়া অভিযুক্তদের ক্যাম্পাসের বাইরে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরই মাঝে গত ১৮, ২০ ও ২২ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন কমিটির ডাকে মোট তিনবার পৃথকভাবে ক্যাম্পাসে এসে সাক্ষাৎকার দেন ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তরা।

২৬ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। এরই মধ্যে ঘটনার তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে ছাত্রলীগের গঠিত কমিটি। এছাড়া সোমবার হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত কমিটি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335