বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন

ইংলিশদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের আক্ষেপ কি ঘুচবে এবার?

খেলাধুলা ডেস্ক: ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর শ্রীলঙ্কার মতো বড় ও সুপ্রতিষ্ঠিত দলের বিপক্ষে একদিনের ক্রিকেটে সিরিজ বিজয়ের কৃতিত্ব আছে বাংলাদেশের। কিন্তু এই তালিকায় নাম নেই দুটি বড় দলের। যার একটি অস্ট্রেলিয়া, অন্যটি ইংল্যান্ড।

বিশ্বকাপ ও আন্তর্জাতিক আসরে দেখা হলেও অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজ খেলে না এক যুগ। সেই ২০১১ সালের এপ্রিলে দেশের মাটিতে অসিদের বিপক্ষে শেষবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে টাইগাররা।

ইংলিশদের বিপক্ষেও যে হরহামেশাই খেলছে, এমন নয়। বাংলাদেশ তাদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে প্রায় ৭ বছর আগে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের সে সিরিজে লড়াই করে ২-১‘এ হেরেছিল মাশরাফির বাংলাদেশ।

এবার মাশরাফি নেই। আরও একবার ইংলিশদের সাথে একদিনের সিরিজ। আগামীকাল বুধবার শেরে বাংলায় তিন ম্যাচের প্রথম ওয়ানডে। যারা মাঠে গিয়ে এবং টিভিতে খেলা দেখার প্রস্তুতি নিয়েছেন, তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো, খেলা শুরুর সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। ম্যাচ শুরু হবে বেলা ১২টায়।

ইতিহাস জানাচ্ছে, দেশের মাটিতে ২০১৬ সালে শেষ সিরিজে ইংল্যান্ডের সাথে প্রায় সমানতালে লড়াই করে হেরেছিল বাংলাদেশ। তিনটি ম্যাচেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচে ২১ রানে হার মানা মাশরাফির দল দ্বিতীয় খেলায় ৩৪ রানে জিতে সমতা ফিরিয়ে এনেছিল।

তবে শেষ রক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ইংল্যান্ড লেগস্পিনার আদিল রশিদের জাদুকরি স্পিনে (৪/৪৩) ৪ উইকেটে হার মানে বাংলাদেশ।

বলে রাখা ভালো তার আগের বছর মানে ২০১৫ সালে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় হাতছাড়া হয়ে যায়। এবার তামিম ইকবালের নেতৃত্বে বাংলাদেশ কি পারবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জিততে?

ইংল্যান্ড দল ওয়ানডের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। জস বাটলার, জেসন রয়, ডেভিড মালান, ফিল্ট সল্টের মত ব্যাটার; ক্রিস ওকস আর মঈন আলির মতো অলরাউন্ডার এবং জোফরা আর্চার, স্যাম কারান, রিস টপলি, মার্ক উড, আদিল রশিদ ও রেহান আহমেদের সাজানো বোলিংয়ে গড়া ইংল্যান্ড অনেক সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী দল।

হোক তা টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি; কয়েক বছর ধরেই ইংল্যান্ডের খেলার ধরন পাল্টেছে। চিরায়ত ব্যাকরণসম্মত খেলা বাদ দিয়ে এখন অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ইংলিশরা। ব্যাটিং কিংবা বোলিং দুই বিভাগেই শুরু থেকে আগ্রাসী মেজাজে খেলে প্রতিপক্ষকে এলোমেলো করে দেয়ার কৌশল এঁটে অনেক বেশি সফল ইংল্যান্ড। যার প্রমাণ একমাত্র দল হিসেবে ৫০ ওভারে পাঁচ-পাঁচবার ৪০০ রান করে ফেলা।

তবে ইংলিশরা কিন্তু অতিমানব নন। দুর্দমনীয়ও নয়। এই তো সেদিন মানে এ বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে শেষ ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরেছে ইংলিশরা। সেই হারের দগদগে ঘা গায়ে নিয়েই এবার ঢাকা এসেছে বাটলারের দল।

অন্যদিকে গত বছর এই দক্ষিণ আফ্রিকাকেই তাদের মাটিতে সিরিজ হারিয়েছে বাংলাদেশ। আর ঘরের মাঠে নিজেদের সর্বশেষ সিরিজে টাইগাররা ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের ভারতকে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের শেষ ম্যাচ হয়েছে একদম শতভাগ ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি পিচে। আর শেরে বাংলার প্রথম দুই ম্যাচ হয়েছে মোটামুটি স্পোর্টিং পিচে। ভারতের বিপক্ষে সিরিজ বিজয়ে ছিল একটি পরিষ্কার বার্তা, বাংলাধেশ এখন আর শুধু স্লো আর লো পিচে নয়, স্পোর্টিং উইকেটেও বড় দলকে হারাতে পারে।

আসল কথা হলো, নিজেদের শক্তি ও সামর্থ্যের সর্বোচ্চ ও সেরা প্রয়োগ। কাল বুধবার তামিম, লিটন, সাকিব, শান্ত, মুশফিক, রিয়াদ, মিরাজ, মোস্তাফিজ ও তাসকিনরা নিজেদের সেরাটা উপহার দিতে পারলে অবশ্যই ইংলিশ বধ সম্ভব। সেটা হলে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখতেই পারে টাইগাররা!

 

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335