বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গ্লোবাল সাউথের সম্ভাবনা খুঁজে বের করে এর অগ্রাধিকার ও উদ্বেগবিষয়ক শিক্ষা বিনিময়ের লক্ষ্যে সাউথ সাউথ কো-অপারেশনের ওপর মন্ত্রী পর্যায়ের একটি ফোরাম গঠনের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, নিয়মিত সাক্ষাৎ ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতামত বিনিময় এবং সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে গ্লোবাল সাউথের পররাষ্ট্র ও অর্থ বা উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রীদের সমন্বয়ে একটি ফোরাম প্রতিষ্ঠা করার এটি সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বার্তায় বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের একটি বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে আর্জেন্টিনা, চীন, কিউবা, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মালাবি, মরক্কো, নেপাল, ফিলিপাইন, রুয়ান্ডা, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনাম থেকে নির্বাচিত স্থায়ী প্রতিনিধিদের একটি দল অংশগ্রহণ করে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০১৯ সালের মার্চে আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত বিএপিএ+৪০ সম্মেলনে সাউথ সাউথ কো-অপারেশন বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরাম গঠনের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রস্তাবে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি, জাতিসংঘের মহাসচিব ও গ্লোবাল সাউথের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর কাছ থেকে অত্যন্ত উৎসাহজনক সমর্থন পেয়েছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রক্রিয়াটি শুরু করার জন্য এ বছর সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশে এ ধরনের মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামের প্রথম বৈঠকের আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার প্রস্তুতির কথাও ব্যক্ত করেন।
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০৩০ এজেন্ডা এবং আন্তর্জাতিকভাবে সম্মত অন্যান্য উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি অর্জনে সাউথ সাউথ কো-অপারেশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বৈঠকে অংশগ্রহণকারী সদস্য দেশগুলো একটি মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরাম প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবের জন্য বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
বৈঠকে কিউবা, কেনিয়া, মিশর, রুয়ান্ডা ও মরক্কো শিগগির ফোরাম প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে তাদের অঙ্গীকার ও সর্বাত্মক সমর্থন ব্যক্ত করে।
অংশগ্রহণকারীরা বাণিজ্য, অর্থ, বিনিয়োগ ও জ্ঞান বিনিময়সহ একাধিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সাউথ সাউথ কো-অপারেশনের অব্যবহৃত সুযোগসমূহ কাজে লাগানোর জন্য প্রস্তাবটিকে একটি সহায়ক পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচনা করে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বৈঠকটি পরিচালনা করেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন। বৈঠকে জাতিসংঘের সাউথ সাউথ কো-অপারেশন বিষয়ক অফিসের একজন প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন।