বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন

News Headline :
পেঁয়াজের দাম ফের ঊর্ধ্বমুখী, বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় মশা মারতে দক্ষিণ সিটির চিরুনি অভিযান রেমিট্যান্স পাঠাতে নিরুৎসাহিত করছে বিএনপি: কাদের গাবতলীর বাগবাড়ীতে জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত আদমদীঘিতে জিয়াউর রহমানের ৪২ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত আদমদীঘিতে মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত গোবিন্দগঞ্জে শামীম এন্ড শাকিল কারিগরি কলেজেের অধ্যক্ষ মহোদয়ের পবিত্র হজ্বে গমন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত দুপচাঁচিয়া জিয়ানগর ইউপি’র ১ কোটি ২০ লাখ টাকার বাজেট ঘোষনা দুপচাঁচিয়ায় সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়া’র ৪২ তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালিত গাবতলীর নেপালতলী ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ঘোষণা

মেহেরপুর মুকুলে ভরে গেছে আমবাগান, বাম্পার ফলনের আশা

নিজস্ব প্রতিবেদক: মেহেরপুরে মুকুলে মুকুলে ছেয়ে আমগাছ। প্রতিটি আমবাগানেই কেবল শোভা পাচ্ছে সোনালি মুকুল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগানমালিকরা।

মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মেহেরপুরে মুকুলে ভরে গেছে আমগাছগুলো। তবে বড় আকারের তুলনায় ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। মুকুল ঘিরে স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা।

জেলায় উৎপাদিত বিখ্যাত পণ্যের মধ্যে অন্যতম হিমসাগর ও ল্যাংড়া আম। স্বাদ ও গন্ধের কারণে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে এ জেলার আম। এজন্য বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে অনেক আমবাগান। এবার আমগাছে ভালো মুকুল আসায় খুশি বাগানমালিকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর মেহেরপুরে দুই হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে আমবাগান আছে। গতবছর প্রায় ৩২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও হপার পোকার সংক্রমণে আমের উৎপাদনও কম হয়েছিল গতবছর। এবার আগে থেকেই বাগান পরিচর্যা, হপার পোকা দমনে অগ্রিম কীটনাশক প্রয়োগসহ গাছে সার ও পানির ব্যবস্থা করায় ব্যাপক মুকুল এসেছে। এ বছর ৩৭ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।

এবছর সাড়ে সাত বিঘা জমিতে আমের বাগান করেছেন সদর উপজেলার সুমন আলী। তিনি জানান, এক বিঘা জমিতে আমগাছ থাকে ৮-১০টি। প্রতি বিঘা জমির বাগান পরিচর্যা, কীটনাশক প্রয়োগ, সার ও সেচ দিয়ে আম বাজারজাত করা পর্যন্ত ৩৫-৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলন আশানুরূপ হলে প্রতি বিঘা বাগান থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত আম বিক্রি করা সম্ভব।

সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের আমচাষি সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার ১৫ বিঘা জমিতে আমবাগান আছে। এবার শতভাগ মুকুল এসেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ও আমের বাজার ভালো পেলে লাভবান হওয়ার আশা করছেন তিনি।

একই গ্রামের বাগানমালিক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গাছে আগাম মুকুল এসেছে। কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বাগানে এসে আমের ভালো ফলন পাওয়ার বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। গাছে যাতে হপার পোকার আক্রমণ না হয়, সেজন্য বাগানগুলোতে কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার  বলেন, এবছর আমের মুকুল এসেছে অনেক। আবহাওয়া খুব ভালো আছে। কৃষি বিভাগ থেকে সময়মতো কীটনাশক প্রয়োগসহ বাগান পরিচর্যার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার জেলায় আমের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335