বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৩৩ অপরাহ্ন
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: গেল বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হলেও দামের ক্ষেত্রে চরম মার খেয়েছেন কৃষক। লোকসানের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অনেক কৃষকের মূলধন পর্যন্ত গায়েব হয়ে গেছে। এরপরও তাঁরা বসে নেই। কারণ ফসল ফলিয়ে বোরোর সেই লোকসান তাঁদের তুলতেই হবে। তাই চলতি মৌসুমে রোপা-আমন চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কৃষকরা। ঝড় বৃষ্টিসহ সব ধরনের বাঁধা বিপত্তি উপেক্ষা করে তাঁরা এখন মাঠে রয়েছেন। অনেক এলাকার কৃষকরা ইতোমধ্যেই জমিতে রোপা আমন ধান লাগিয়েছেন। আবার অনেকেই জমি তৈরীতে ব্যস্ত রয়েছেন। এছাড়া আগামি ৭-৮দিনের মধ্যেই এখানে পুরোদমে জিরাশাইল ও পারিজাত ধান কাটা শুরু হবে। একইসঙ্গে ওইসব জমিতেও আমন ধানের চারা লাগানো হবে। আর এরই মধ্যেদিয়ে চলতি রোপা আমন মৌসুমের ধান লাগানোর কাজ সমাপ্ত হবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় প্রায় ২০হাজার ৭৬০হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ১৪হাজার হেক্টর জমিতে কৃষক আমন ধানের চারা লাগিয়েছেন। সরেজমিনে গেলে একাধিক কৃষক জানান, আমন ধান লাগানোর উপযুক্ত সময়ও এখনই। তাই তাঁদের ঘরে বসে থাকারও খুসরত নেই। সময়ের সাথে পাল¬া দিয়েই ছুটতে হচ্ছে ফসলের মাঠে। তাঁরা জানান, গেল বছর তীব্র খরার কারণে পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়। ফলে সেচ কাজও ব্যহৃত হয়। তবে এবার সময়মত প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত হওয়ায় সেই সমস্যা নেই। ফলে বৃষ্টির পানি দিয়েই এলাকার চাষীরা আমন চাষ করছেন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, চলতি রোপা-আমন মৌসুমের শুরুতে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। পানি সংকটের কারণে জমি প্রস্তুত করতে কোন সমস্যা হয়নি। এছাড়া সবকিছুই এবার কৃষকের অনুকূলে থাকায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে এই কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করেন।