শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:২২ অপরাহ্ন
জিটিবি নিউজ টুয়েন্টিফোর : ছাত্রলীগ, যুবলীগের পর এবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব বাদ পড়ছেন। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আগামী কমিটিতে ঠাঁই হচ্ছে না বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের। সংগঠনটির তৃতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি আছে—এমন সৎ ও দলের দুঃসময়ে মাঠে থাকা নেতাদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হবে। সূত্রগুলো জানায়, আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার ও সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথকে আর নেতৃত্বে রাখতে আগ্রহী নন। ফলে এ দুই পদেই নতুন নেতৃত্ব খোঁজা হচ্ছে। নানা অপকর্মে জড়িয়ে বিতর্কিত হয়ে পড়া যুবলীগের শীর্ষ পদে বর্তমান কমিটির বাইরে থেকে কাউকে নেতৃত্বে আনার কথা ভাবা হলেও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ক্ষেত্রে তেমনটা হবে না।
ঢাকা মহানগর উত্তরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদেও পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। এ পদ দুটি পেতে বর্তমান কমিটির সহসভাপতি গোলাম রাব্বানী ও শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফরোজ হাবীব ও হাবিবুর রহমান পান্না, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল তৎপর রয়েছেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসহাক মিয়া সভাপতি পদপ্রত্যাশী। তিনি আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকা মহানগরে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে বিশেষ তৎপরতা চালাচ্ছেন তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও তিতুমীর কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস আমজাদ হোসেন। কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে তাঁর বিশেষ জনপ্রিয়তা রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রচার সম্পাদক দুলাল হোসেন, মোহাম্মদপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি লায়ন এম এ লতিফও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি সূত্র জানায়, ইসহাক মিয়াকে সভাপতি ও বিপুলকে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর উত্তরের কমিটি গঠনের সম্ভাবনাই বেশি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণেও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসছে। দক্ষিণে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে এগিয়ে আছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, তারেক সাঈদ, মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ও শেখ আনিসুর রহমান রানা।
একটি সূত্র জানায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছারেরও যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর মতো পরিণতি হতে পারে। ক্যাসিনো কাণ্ডে নাম আসায় তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি। ফলে কাউন্সিলের আগেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।