শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন
জিটিবি নিউজ টুয়েন্টিফোর : সম্প্রতি আফগানিস্তানের কাছে টেস্ট হারের পরই বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ কারণে ফিটনেস বাড়ানোর দিকে নজর দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)। ফলে এবারের জাতীয় লিগ(এনসিএল) শুরুর আগেই ফিটনেস টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়। সেই সঙ্গে বেঞ্চমার্কও বাড়িয়ে ১১ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বোর্ডের অবস্থানের কথা আরো একবার সাংবাদিকদের জানিয়ে দিলেন বিসিবি সভাপতি।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমরা ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি আপনারা দেখেছেন। আমরা যে ফিটনেস লেভেল দিয়েছি, আমি বলেছি সামনের বছর আমরা এটা আরেকটু বাড়াতে চাই এবং এটা আগেই জানিয়ে দিতে চাই। এবার যেমন শেষ মুহূর্তে থাকায় অনেকের আপত্তি ছিল। আমি বলেছি আগে থেকে জানিয়ে দিতে, যেন সবাই এক বছর আগেই জানে।’
এ সময় প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএল-সব জায়গায় ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্ট প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘আমাদের যে প্রিমিয়ার লিগ আছে সেটাতেও কিন্তু এই ফিটনেস টেস্ট পাশ করে আসতে হবে। ফিটনেস টেস্ট আজকে বসে ঠিক করেছি সব ঢাকায় হবে। বাইরের থেকে করলে হবে না। এখানে এসে সবাইকে একই জায়গায় টেস্ট দিতে হবে। সুতরাং, সময় আছে তাদের উন্নতি করার এবং এটা উচিত। এবার শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে (এ দলের) আমাদের অনুধাবন হয়েছে, শ্রীলঙ্কায় আমরা জিতে এসেছি। অথচ ম্যাচে কিন্তু দুই দিন পরে দ্বিতীয় ইনিংসে গিয়েই দেখি কেউ খেলতে পারছে না। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তো এইগুলো গ্রহণযোগ্য নয়। প্রথমদিকে অসুবিধা হবে জানি, কিন্তু আস্তে আস্তে সবাই পারবে (ফিটনেস টেস্টে ভালো করতে)। অবশ্যই তারা পারবে, আমার দৃঢ় বিশ্বাস। বিশেষ করে পেস বোলার যারা, তাদের ফিটনেসে বেশি সমস্যা। বাইরের ওরা (বিদেশি ক্রিকেটাররা) একটার পর একটা টেস্ট খেলেই যাচ্ছে কিচ্ছু হচ্ছে না, আমাদের এখানে একটা ওয়ানডে খেলেই ইনজুরি। ফিটনেসে যদি এখন থেকে হাত না দেই আমাদের ক্রিকেট আর সামনে আগাবে না। কাজেই ফিটনেসের প্রতি একটা জোর দিয়েছি।’
এ ছাড়াও নতুন নতুন খেলোয়াড়ের সন্ধানের বিষয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘নতুন প্লেয়ারের সন্ধানে নেমেছি। অনেক পরীক্ষা নীরিক্ষা হবে। এতোদিন শুধু জেতার জন্য খেলেছি। জিততেই হবে এমন মানসিকতায়। এখন কিন্তু আমরা পরীক্ষা করব। অলরেডি কিছু পরীক্ষানিরিক্ষা দেখেছেন। অনেক কিছু হচ্ছে, হবে। তাতে সাময়িকভাবে মনে হবে, এটা কেন হচ্ছে, এটা কেন করছি? কিন্তু সব কিছুই আমাদের লংটার্ম চিন্তা করে করা হচ্ছে। ২০২০ পর্যন্ত বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে। কিন্তু ২০২১ এ গিয়ে আমরা যে টিমটা বানাব সেটা ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ খেলার জন্য একটা সলিড টিম বানাতে চাচ্ছি। এখানে যেন কারো কোনো চিন্তা-ভাবনা না থাকে কি হচ্ছে না হচ্ছে, এটা হলে ভালো হত। যা করার এখনই করে ফেলব। আমরা একটু লংটার্ম চিন্তা করে কাজগুলো করছি।’