বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন
সোমবার গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
তিনি বলেন, জাহালমের ঘটনায় দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের গাফিলতিতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এজন্য জেলা জজ পদমর্যাদার দুদকের একজন পরিচালককে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ইকবাল মাহমুদ বলেছিলেন, জাহালমকে ‘সালেক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ব্যাংক। পুলিশও আসামি হিসেবে জাহালমকে এ নামেই চিহ্নিত করেছে। এনআইডি কর্তৃপক্ষও একই ভুল করেছে। এটা দুঃখজনক। তাই কোথায় আসলে ভুল হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।
ঘটনাক্রমে জানা যায়, রোববার রাত ১২টা ৫৮ মিনিটে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে জাহালমকে মুক্তি দেয়া হয়। কারামুক্তির পর বড় ভাই শাহানুর মিয়ার সঙ্গে ভোর ৪টায় গ্রামের বাড়িতে পৌঁছান তিনি। রাতের আঁধারে মোবাইলের আলোয় জাহালমকে দেখেই ছুটে আসেন মা মনোয়ারা। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনিসহ স্বজনরা। এসময় তাকে দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে ঘরে তুলেন তার মা মনোয়ারা।
পাটকল শ্রমিক জাহালম টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবুরিয়া গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে। সোনালী ব্যাংকের অর্থ জালিয়াতির ২৬টি মামলা থেকে তাকে একদিনের মধ্যেই অব্যাহতি দিয়ে রোববার সকালে মুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। মূল আসামি আবু সালেকের বদলে জাহালমকে গ্রেফতার করে কারাগারে রাখা হয়।
রাতে মুক্তির পর সাংবাদিকের জাহালম বলেছিলেন, আমাকে বিনা বিচারে আটকে রাখা হয়েছিল। আমি এর বিচার চাই, ক্ষতিপূরণ চাই।
গেল ৩০ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি নজরে আনা হলে হাইকোর্ট জাহালমের আটকাদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।