শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন
বগুড়ায় দেড়শ কোটি টাকার সার আত্মসাতের অভিযোগে শ্রমিক লীগ নেতাসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার আসামিরা হলেন- আদমদীঘি উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ও সার বিক্রেতা রাশেদুল ইসলাম রাজা এবং সান্তাহার বাফার গোডাউনের সাবেক ইনচার্জ নবির উদ্দিন খান।
তাদের বিরুদ্ধে ১৫৩ কোটি টাকার রাসায়নিক সার আত্মসাতের অভিযোগে এনে বুধবার সকালে আদমদীঘি থানায় মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন বগুড়ার সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।
আদমদীঘি থানা পুলিশের ওসি মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের সাবেক উপ-প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) ও সান্তাহার বাফার গোডাউনের সাবেক ইনচার্জ নবির উদ্দিন খান এবং সান্তাহার শহরের বাসিন্দা রাজা ইন্টার প্রাইজের মালিক মো. রাশেদুল ইসলাম রাজা যোগসাজশ করে এসব সার আত্মসাৎ করেছেন। ২০১৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৬ সালের ২৪ জুন পর্যন্ত ৫২ হাজার ৩৪২ মেট্রিক টন সার বিভিন্ন পরিবহন ঠিকাদারের কাছ থেকে নেন তারা। যার মূল্য ১৫৩ কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার ৭৫২ টাকা। এসব সার গোডাউনে রেজিস্ট্রারভুক্ত না করে আত্মসাৎ করেন তারা। তিন বছরে এত কোটি টাকার সার আত্মসাতের বিষয়টি জেনে মামলা করে দুদক।
ওসি মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, আদমদীঘি থানায় সার আত্মসাৎ সংক্রান্ত এটি দুদুকের দ্বিতীয় মামলা। এর আগে ৬ কোটি টাকার রাসায়নিক সার আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর একটি মামলা করে দুদুক। সেই মামলাতেও সান্তাহার বাফার ইনচার্জ নবির উদ্দিন খানকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় জামিনে রয়েছেন তিনি। এ নিয়ে সার আত্মসাতের দ্বিতীয় মামলার আসামি হলেন নবির উদ্দিন।
দুদকের মামলার বাদী আমিনুল ইসলাম বলেন, সাবেক গোডাউন ইনচার্জ ও শ্রমিক লীগ নেতা যোগসাজশে ২০১৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৬ সালের ২৪ জুন পর্যন্ত সান্তাহার বাফার গোডাউন থেকে ৫২ হাজার ৩৪২ মেট্রিক টনের বেশি সার জমা না দেখিয়ে উধাও করেছেন। এর দাম ১৫৩ কোটি টাকার বেশি। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে সান্তাহার বাফার গোডাউনের সাবেক ইনচার্জ নবির উদ্দিন খান ও আদমদীঘি উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রাজার মোবাইলে একাধিক কল দিলেও রিসিভ করেননি তারা।
সূত্রঃ জাগোনিউজ২৪.কম