শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৩ অপরাহ্ন
গৃহকর্তা-গৃহকর্ত্রী দুইজনই কারণে-অকারণে একসঙ্গে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করতেন, বাসায় আটকে রাখতেন, বেতের লাঠি, কাঠের বেলুন দিয়ে আমাকে মারতেন এবং মাঝে মধ্যে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিতেন। সবশেষ সোমবার না বলে চিনি খাওয়ার অপরাধে প্রথমে বেত ও বেলুন দিয়ে অনেক মারধর করে, পরে নখে সুই ঢুকিয়ে আমার মাথার চুল কেটে দেয়।’
নির্যাতনের কথা বর্ণনা করে নিজেকে বাঁচানোর জন্য এভাবেই আর্তনাদ করেছে গৃহপরিচারিকা লামিয়া আক্তার মরিয়ম (১০)। বর্তমানে মরিয়ম শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চোখ ফুলে যাওয়ায় দেখতেও সমস্যা হচ্ছে তার। অসহায় অবস্থায় মরিয়ম আর্তনাদ করেছে, ‘ওদের হাত থেকে আমাকে বাঁচান’। শরীরের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে আঘাতের চিহ্ন নেই। চোখ-মুখ এবং পুরো শরীর ফুলে উঠেছে।
জানা যায়, ৬ মাস আগে বাসার কাজের জন্য তাকে গ্রাম থেকে আনা হয়। আনার পর প্রথম প্রথম ভালো ব্যবহার করতেন আখি-আশরাফুল দম্পতি। কয়েকদিন পর কারণে-অকারণে আখি ও তার স্বামী মরিয়মের ওপর নির্যাতন চালাতে শুরু করেন। বাইরে যাতে শব্দ না যায় এ জন্য দরজা বন্ধ করে মারতেন। বেশিরভাগ সময় বেতের লাঠি ও কাঠের বেলুন দিয়ে মারধর করতেন তারা।
প্রতিদিন রাতে মরিয়মের কান্না আর চিৎকারের বিষয়টি ডিবি পুলিশকে জানিয়ে একটি অভিযোগ দেয় প্রতিবেশীরা। সোমবার রাতে বরিশাল নগরীর কাশীপুর আনসার ক্যাম্পের পেছনে মদিনা সড়কের আকাশ মঞ্জিলে অভিযান চালিয়ে মরিয়মকে উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।