শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:২৩ অপরাহ্ন

কোরবানি :৩০ মণের রাজাবাবুর দাম ১৫ লাখ, সঙ্গে খাসি ফ্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোরবানির বাজার ধরতে প্রস্তুত বিশালদেহী ‘রাজাবাবু’। ৩০ মণ (১২০০ কেজি) ওজনের এই ষাঁড়টিকে আসন্ন কোরবানির ঈদে বিক্রি করা হবে। মালিক এর দাম হাঁকছেন ১৫ লাখ টাকা।

ষাঁড়টির মালিক রফিকুল ইসলাম যশোরের কেশবপুর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের ইসহাক আলী মোড়লের ছেলে। তার খামারে ছোট-বড় মিলিয়ে ছয়টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে দৃষ্টি কেড়েছে বিশালদেহী ‘রাজাবাবু।’

রফিকুল ইসলাম জানালেন, বংশপরম্পরায় তারা গরু লালনপালন করেন। প্রায় পাঁচবছর আগে যশোরের সাতমাইল পশুরহাট থেকে তিনি একবছর বয়সী একটি বাছুর এক লাখ ৩০ হাজার টাকায় কেনেন। এরপর গত পাঁচ বছর ধরে তিনি এটিকে লালনপালন করছেন। ষাঁড়টির নাম দিয়েছেন ‘রাজাবাবু’।

তিনি জানান, প্রতিদিন এর খাদ্য তালিকায় থাকে খড়-বিচুলি, ঘাস, ভুসি, চালো কুড়ো, খৈল, ভুট্টা, ছোলা, খেসারির গুড়া এবং লবণ। এর বাইরে অন্য কোনো খাবার তিনি খাওয়ান না। গরমের জন্য গোয়ালঘরে ফ্যানও লাগানো আছে। সকাল থেকে রাত অবদি গরুর দেখাশোনা ও যত্ন করতে হয়।

এই খামারি জানান, রাজাবাবুর ওজন এখন ৩০ মণ। এবারের কোরবানি ঈদে তিনি এটিকে বিক্রি করবেন। দাম নির্ধারণ করেছেন ১৫ লাখ টাকা। ক্রেতা যদি চান তার সুবিধার্থে তিনি নিজ খরচেই কোরবানি পর্যন্ত তার বাড়িতে রাখার সুযোগ দেবেন। এছাড়া ষাঁড়টি কিনলে একটি খাসিও উপহার দেওয়া হবে।

রফিকুল আরও জানালেন, তার খামারে এখন ছয়টি গরু রয়েছে। গরু লালনপালনের সুবিধার্থে তিনি নিজেই ক্ষেতের খড়-বিচুলির পাশাপাশি ঘাস, ভুট্টা এবং খেসারি চাষ করেন। এতে খরচও কিছুটা কম হয়। তারপরও এখন রাজাবাবুর প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ২০০ টাকার খাবার লাগে।

এবছর রাজাবাবুকে বিক্রি করে দিয়ে আগামী বছর নিজের বাড়ির একটি গরুকে বড় করবেন বলে জানালেন তিনি।

বাবার সঙ্গে গরুর দেখাশোনা করেন রফিকুলের ছেলে মাহবুবুর রহমান। তিনি জানান, রাজাবাবু তাদের খুব প্রিয়। পাঁচ বছর ধরে গরুটি লালনপালন করেছেন। বিশালদেহী গরুটিকে সামলে রাখা খুবই কষ্টকর। অনেক পরিশ্রম করে তারা এটিকে বড় করেছেন। এই অঞ্চলে এত বড় গরু আর নেই। এজন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন তাদের গরু দেখতে আসেন।

গরু দেখতে আসা খুলনার ফুলতলা এলাকার কলেজছাত্র তানভীর আহমেদ জানালেন, এই গরুর কথা শুনে তিনি দেখতে এসেছেন। এত বড় গরু এর আগে দেখেননি। দেখে খুব ভালো লাগছে। এই খামার দেখে তারও খামার করার বাসনা সৃষ্টি হয়েছে।

কেশবপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অলোকেশ কুমার সরকার জানান, শ্রীরামপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের খামারে তিনি একাধিকবার গিয়েছেন। গরু লালনপালনের জন্য তারা প্রয়োজন মতো পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ডা. অলোকেশ বলেন, রফিকুলের ফ্রিজিয়ান ক্রস জাতের গরুটি অনেক বড়। গরুর দৈর্ঘ্য এবং বুকের পরিধি মেপে সম্ভাব্য ওজনের যে হিসাব করা হয়; সে অনুযায়ী গরুটির ওজন ১ হাজার ২০০ কেজির মতো। গরুটি এবার কোরবানিতে তিনি বিক্রি করতে চান। আশা করছি, ভালো দামে গরুটি বিক্রি হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335