বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৮ অপরাহ্ন
সকালেই হঠাৎ করে ফোনটি বেজে উঠতেই যে সংবাদটি পেয়েছি তা ব্যথাতুর ও বেদনা দায়ক তো বটেই সাথে সাতেই মরমাহত। সাংবাদিকতার প্রথম পরিচয় ৯৬,র দিকে,তখন ‘‘সোনার মানুষ ,, নামে আমার ধারাবাহিক উপন্যাসটি পত্রিকায় প্রকাশিত হতো। একদিন প্রেসক্লাবে দাড়াতেই হঠাৎ বলে বসলেন তুমি কি ‘গুলবাগী,, জ্বী হা, বলতেই বলে বসলেন এখানে বসো,। তার পর ধীরে ধীরে আমার লেখা,-হিরোশিমা কথা বলে,পুলিশের আর্তনাদ, ওহীর তাৎপর্য ও কোন আন নাযিলের ইতিহাসসহ বেশ কয়েকটি লেখার নাম বলল এবং সব গুলি লেখা তিনি পড়েছেন বলে জানালে আমি নিজেকে ধন্য মনে করলাম। তার পর অনেক উপদেশ মুলক কথায় ভক্তি ও শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে গেল। আর সেদিন থেকে তাকে মনে থেকেই শ্রদ্ধা করে আসি একে বারেই আপন হয়ে। তার ব্যাক্তিগত অফিস বকসি বাজারে নিয়মিত যেত হত। কিছু দিন পুর্বই হিরু ভাই ক্লিনিকে ভর্তী হয়ে ফোন দিয়ে বললেন , গুলবাগী কেমন আছো, উত্তর দিয়ে বললাম,আপনি কেমন আছেন- বললেন, আমি তো শামছুন্নাহারে এডমিট আছি,শরীর টা ভাল না,ছুটে গেলাম ক্লিনিকে,দেখা করলাম, কথা বললাম তার পাশে থাকা বড় ছেলের সাথে। তার পরে সুস্থ হয়েও বেশ কুশল বিনিময় হলেও এক মাস পর হঠাৎ করেই পেলাম তার বিদায় ঘন্টার ফোন। আজ হিরু ভাই নেই, কথা যেন ভাবতে পারছি না, তার যে গুনটি আজ বেশি করে মনে পড়ে তা হলো আমার কোন অনুষ্ঠানে বা পরামর্শশে স্মরনাপন্ন হলে তিনি প্রথমে বলতেন একে বলেছ নাকি, তাকে বলেছ নাকি, সে কি বলল-ইত্যাদি, এতে একটি বিষয় লক্ষ্য করতাম যেসমস্ত লোক গুলি তাকে কম পছন্দ করতেন তাদের কথাই উনি বেশি বেশি বলতেন- আর আমাকেই বেশি ভালবাসতেন- মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার জীবনের গুনাহ গুলি মাফ করে দিয়ে বেহেস্ত নসীব করুন-আমিন। ——এস,গুলবাগী