বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজধানীর যাত্রাবাড়ি- মাতুয়াইলের আদর্শ বাগ এলাকার পাড়া ডগাইড় মৌজায় অনুমোদনহীন ও নকশাবহির্ভূত ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। রাজউকের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে একের পর এক নির্মিত হচ্ছে নকশাবহির্ভূত বহুতল ভবন। আর নকশা ছাড়া নির্মিত ভবনের সঠিক কোনো তথ্য নেই রাজউকের কাছে। হাজারের অধিক ভবন ও বাড়ি ধসের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে যাত্রাবাড়ি- ডেমরা এলাকায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। কিছু কিছু ভবন মালিক রাজউকের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধভাবে নকশা বহির্ভূত নির্মাণ কাজ।রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভবন নির্মান নীতিমালা ভঙ্গ করে যাত্রাবাড়ীর আদর্শবাগ এলাকায় বেশ কিছু ভবনে নির্মাণ কাজ পরিচালনা করে বহুতল ভবন গড়ে তুলছে। এসব ভবনে দশ তলার নকশা অনুমোদন এনে মাত্র ৬ ফুট রাস্তা ছেড়ে নির্মাণ কাজ পরিচালিত হচ্ছে।
বেশীরভাগ ভবনেই নিরাপত্তা সাপোর্ট না দিয়ে কাজ করায় অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। নকশা বহির্ভূত ভবন এবং নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে নির্মাণ কাজ না করা কিছু ভবন হলো। ১।যাত্রাবাড়ি থানাধীন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৬৫ নং ওয়ার্ড হোল্ডিং নং-৩৬/২ আলী মোহাম্মদ খান রোড, আদর্শবাগ, বালুর মাঠ ইউনিটি পার্ক ভবন মালিকের নাম তামিম একটি ১১তলা বিশিষ্ট ভবন। ২। হোল্ডিং নং-৩৬/১ আলী মোহাম্মদ খান রোড, বালুর মাঠ গ্রীন পার্ক ভবন মালিকের নাম হারুন মাষ্টার, দশতলা ভবন। ৩।হোল্ডিং নং-৩৬/৩ আলী মোহাম্মদ খান রোড আদর্শ বাগ, বালুর মাঠ, জমজম টাওয়ার,মালিক মজিবুর রহমান, দশতলা ভবন। ৪।হোল্ডিং নং-৩৩/৮ আলী মোহাম্মদ খান রোড, আদর্শ বাগ,প্রফেসরের বাড়ির সামনে,মাতৃছায়া টাওয়ার, মালিক- ওয়ায়েছ, দশ তলা ভবন। ৫।রওজাতুল সালেহীন ভবন,আলী মোহাম্মদ খান রোড আদর্শ বাগ বালুর মাঠ,মালিক আমিনুল ইসলাম হুজুর, ইঞ্জিনিয়ার আবির, দশতলা ভবন। ৬।সুপেক্স টাওয়ার আলী মোহাম্মদ খান রোড আদর্শ বাগ বালুর মাঠ মালিক- আব্দুর রহিম দশতলা ভবন। ৭।গ্রীন ভিউ টাওয়ার,আলী মোহাম্মদ খান রোড আদর্শ বাগ বালুর মাঠ মালিক-নজরুল, কোষাধ্যক্ষ লুৎফর রহমান দশ তলা ভবন।
উল্লেখিত ভবন গুলোতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ফাঁকি দিয়ে জলাধার ভরাট করে অনুমোদিত নকশা বহির্ভূত ভাবে নিরাপত্তা বেষ্টনী না দিয়ে নির্মাণ কাজ পরিচালিত হচ্ছে। এসব ভবণগুলো নির্মাণকালীন সময়ে রাজউকের নিয়ম মোতাবেক ২০ ফুট রাস্তা থাকার কথা থাকলেও কোন জমি না ছেড়েই কাজ করেন ভবন মালিক। নকশা বহির্ভূত ভাবে ফ্ল্যাট সংখ্যা বাড়িয়ে অনেকে নির্মাণ কাজ করছে। এসব ভবনের বিরুদ্ধে রাজউক কর্মকর্তাদের নজরদারি জরুরি হয়ে পড়েছে।