শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে থামছেই না মৃত্যুর মিছিল। সোমবার (২০ মার্চ) আবারও দুই ট্রাকের সংঘর্ষে প্রাণ গেলো চালকের। এনিয়ে গত এক সপ্তাহে ওই মহাসড়কে প্রাণ ঝরেছে পাঁচজনের।
জানা গেছে, সোমবার ভোরে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের নন্দীগ্রাম উপজেলার কাথম বেরাগাড়ীতে রংপুরগামী মালবোঝাই দুটি ট্রাক ওভারটেক করতে গিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই একটি ট্রাকের চালক আশরাফ আলী (৪০) নিহত হন। তিনি যশোরের মনিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় হেলপার টুটুল ইসলামকে (১৪) ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
এর আগে রোববার (১৯ মার্চ) সকালে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে শাজাহানপুর উপজেলার রুপিহার এলাকায় ট্রাকচাপায় সাব্বির হোসেন (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হন। নিহত সাব্বির হোসেন শাজাহানপুর উপজেলার পোয়ালগাছা গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নন্দীগ্রামে কোয়ালিটি ফিড নামের একটি কোম্পানিতে ওয়ার্কার ছিলেন। এ সময় আহত হয়েছেন তারই সহকর্মী আব্দুল কুদ্দুস (৩৬)।
এদিকে গত ১৩ মার্চ সকাল ৮টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি নন্দীগ্রাম থেকে যাত্রী নিয়ে মহাসড়ক হয়ে বগুড়া শহরের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কুন্দারহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছার পর নাটোরগামী একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশা দুমড়েমুচড়ে ঘটনাস্থলেই চালকসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। পরে নন্দীগ্রাম থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে পিকআপের চালক, চালকের সহকারীসহ আহত পাঁচজনকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ সব দুর্ঘটনার জন্য অযোগ্য চালক, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, মহাসড়কে নসিমন-ভটভটি চলাচল করা, জনগণের অসচেতনতা ও অনিয়ন্ত্রিত গতিকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
নন্দীগ্রাম কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসনাত আলী বলেন, টিপটিপ বৃষ্টির কারণে সড়ক পিচ্ছিল রয়েছে রাস্তা। যার ফলে দুর্ঘটনা বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন মারা গেছেন।