বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৯ অপরাহ্ন
রাকিব হোসেন সোহেল লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে চন্দন ভৌমিক ও দিলিফ এবং ইছার উল্যার বিরুদ্ধে।গত দুই মাস ধরে কেটে ফেলা হয়েছে গ্রামারী রেইনট্রি ঝাউগাছ নাটারী ও আকাশ মনি সহ আরও কয়েকটি বিভিন্ন জাতের ছোট বড় গাছ।বয়স আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪০বছর, যেটি থেকে অন্তত ১০০ ঘনফুট কাঠ হবে।তবে লক্ষ্মীপুর সদর দালাল বাজার বনবিভাগের বীজ তলা কেন্দ্রের অধিনে ১৭ নং ভবানীগঞ্জ ভিট অফিস কর্মকর্তা দিলিফ দাবি করেন,তিনি গাছ কাটার জন্য লক্ষ্মীপুর জেলার বনবিভাগ অধিনে দালাল বাজার বনবিভাগের সদর বীজ তলা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চন্দন ভৌমিক থেকে মৌখিকভাবে অনুমতি নিয়েছেন।
তবে পড়ে যাওয়া গাছ কাটতে কোনো লিখিত প্রয়োজন হয়না বলে জানিয়েছেন মুঠোফোনে দিলিফ। সরকারী বনবিভাগের কাটা গাছ নাম্বার না দিয়ে,সঠিক জায়গায় না রেখে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সোয়া মেইলের মধ্যে বন বিভাগের গাছ।সোয়া মেইলের মালিক জামাল উদ্দিনের সাথে কথা বলে জানতে পারি বনবিভাগের গাছ বনবিভাগের কর্মচারী ও কর্মকর্তা ভবানীগঞ্জ দিলীপ ভিট কর্মকর্তা ও দালাল বাজার বীজ তলা কেন্দ্র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চন্দন ভৌমিক মিলে এই গাছ রেখে যাওয়া হয়েছে।যদিও নোয়াখালী বন বিভাগের বিভাগীয় অধিনে লক্ষ্মীপুর জেলা বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানিয়েছেন, তিনি গাছ কাটার বিষয়ে কিছু জানেন না। আমি এবিষয়ে কিছুই জানিনা এই শাখার দ্বায়িত্বে আছে দালাল বাজার বনবিভাগের বীজ তলা কেন্দ্র চন্দন ভৌমিক তার সঙ্গে কথা বলার জন্য বলেন, দেখা যাচ্ছে সরকারী আইনের বিধি বিধানে রয়েছে সরকারী ও কর্মচারী ও কর্মকর্তা বনবিভাগের বিভাগীয় প্রধান কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।জানা গেছে দিলীপ কোনো ধরনের অনুমতি নেননি।
একটু ভালো করে খোঁজ নিলে মিলবে অসাধু কর্মকাণ্ডের ঘটনা দিলীপ ও চন্দন ভৌমিক ও সদস্য ইছার উল্যার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি অভিযোগের সত্য ঘটনার সংবাদ। সংশ্লিষ্ট মোস্তাফিজুর রহমান জানান,বন বিভাগের আমি একজন কর্মচারী,ভিট কর্মকর্তা দিলীপ অনুমতি নিয়ে এই গাছ কাটা হয়েছে এবং গাছ গুলো কাটার জন্য আমি শুধু শ্রমিক দিয়েছি।অনুমতি এবং অন্যান্য বিষয় ভীট কর্মকর্তা দিলীপ দেখেছেন।’বন আইন অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা দণ্ডনীয় অপরাধ।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিপোর একজন প্রহরী জানিয়েছেন, গাছটি কাটার পর কয়েকটি টুকরো ভিট শাখায় রাখা হয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে ফরেস্টার দালাল বাজার বনবিভাগের বীজ তলা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চন্দন ভৌমিক বলেন, গাছটি সংরক্ষণ করা আছে।কোথাও পাচার করা হয়নি।যদিও এঘটনার সত্য প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে দিলীপ এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এদিকে ১৪নং মান্দরী ইউনিয়নের আওতাধীন আমিন বাজার গন্তব্যপুর গ্রামে পূর্ব দিকে বেড়ী হইতে ১৩নং দিঘুলী ইউনিয়নের বেড়ীবাঁধ পর্যন্ত, ও গন্তব্যপুর আমিন বাজার হইতে পচ্চিম দিকে পাকা রাস্তা হইতে ১৭ নং ভবানীগঞ্জ বেড়ীবাঁধ পর্যন্ত, ১৯ নং নতুন তেরীগঞ্জ বাজার এবাদ উল্যা পূর্ব চরমনশা গ্রাম হইতে শুটকির পোলের মাথা পর্যন্ত কাটা গাছের কোনো হিসাব নেই।নেই কোনো গাছের ঘোড়ায় কত নম্বর গাছ কাটা হয়েছে চিহ্ন।এছাড়াও লক্ষ্মীপুর সদর আওতাধীন ১৭ নং ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের মহাসড়কে দুটি পাশে স্রিত্রাং নামের গুর্ণীঝড়ে পড়া গাছ কাটার হিসাব নেই অগণিত পড়েছে গাছ।কিন্তু দেখা যাচ্ছে স্রিত্রাং এ পড়া গাছের কোনো ট্রেন্ডার দেওয়া না হলেও ট্রেন্ডারের আগেই অধিক গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে বলে গ্রাম বাসীদের অভিযোগ।
এমন অভিযোগ উঠেছে ভবানীগঞ্জ ভিট কর্মকর্তা দিলীপ ও দালাল বাজার বনবিভাগের বীজ তলা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চন্দন ভৌমিক, ও বনবিভাগ কর্মচারীর পরিচয়ে ১৪নং মান্দারী ইউনিয়ন বাসিন্দা ইছার উল্যা সহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে।বনবিভাগের গাছ কাটার অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে অগণিত কর্মচারী সদস্য ইছার উল্যা ও দুইজন কর্মকর্তা দিলীপ ও চন্দন ভৌতিক এর বিরুদ্ধে।এদিকে এলাবাসীদের অভিযোগ হচ্ছে সরকারী বনবিভাগের শতশত গাছ আগেই কেটে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ তা না হলে সরকারী বনবিভাগের গাছ ট্রেন্ডারের আগেই এই গাছ গেছে কোথায়, যেখানে আমরা একটি গাছের পাতা পযর্ন্ত ধরলে আমাদের বিরুদ্ধে আইনি মামলা দেওয়া হতো।
দেখা যাচ্ছে বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কারণে বন বিভাগের এই দুর্নাম চড়াচ্ছে।সরকারী বনবিভাগের অগণিত খালী জায়গা পড়ে থাকার পরেও সঠিক জায়গা না নিয়ে বিভিন্ন গোপন জায়গায় দেখা যাচ্ছে বনবিভাগের গাছ গুলো।দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে মানুষের বাড়ির ভিতরে সরকারী বনবিভাগের কাটা গাছ।গাছ কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ফিরোজ আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি জানালে তিনি ঘটনার তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক মিডিয়ার উপস্থিত থাকা কালীন সময়ে।