বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাইসাইকেল চোর সন্দেহে দুই যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। ভুক্তভোগী দুই যুবক হলেন- মানিক আলী (৩২) ও ডালিম আলী (৩৬)। মারধরের ঘটনায় আহত মানিক আলীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে বাইসাইকেল মালিকের এক বন্ধুর বাড়ি থেকে ওই সাইকেল উদ্ধার করা হয়।
রোববার (১২ ফ্রেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের শিমুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মানিক বালিডাঙ্গা ইউনিয়নের শিমুলতলা এলাকার মিয়াপাড়া গ্রামের আয়েস উদ্দিনের ছেলে। ডালিম আলী একই গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় শিমুলতলা এলাকায় একটি দোকানের সামনে স্থানীয় বাসিন্দা আলামিনের ছেলে নুরের বাইসাইকেল রাখা ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে বাইসাইকেলটি সেখানে পাওয়া যায়নি। বেশ কিছু সময় খোঁজাখুঁজি করেও বাইসাকেল পাননি নুর। এ ঘটনায় মানিক আলীকে সন্দহ করে তাকে ধরে এনে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে খবর পাওয়া যায় নুরের বন্ধু তরুণ কাউকে কিছু না বলেই সাইকেলটি নিয়ে যান।
ভুক্তভোগী মানিক আলী বলেন, সন্ধ্যার পরে জেলা শহর থেকে বাড়ি ফিরি। কিছু সময় পর হঠাৎ স্থানীয় বাসিন্দা নুর, জুয়েল, মোরসালিন, রাকিব আলী, আসগর, বাবু, হাসিবসহ আরও কয়েকজন আমাকে সাইকেল চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে মরতে মারতে উঠিয়ে নিয়ে যান। পরে শিমুলতলা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের সামনে নিয়ে গিয়ে তারা আমাকে বেধড়ক পেটান। তারা আমার কোনো কথা না শুনেই বেধড়ক পিটিয়েছেন। এতে আমি মারাত্মক আহত হই। পরে হাসপাতালে আসার পরে জানতে পারলাম আরেকজনের বাড়ি থেকে সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। আমি সাইকেল চুরি না করেও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এই নির্যাতনের বিচার চাই। আমি সকালেই মামলা করবো।
এ বিষয়ে জানতে সাইকেল মালিক নুরের মুঠোফোন কল দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিতেই তিনি রিসিভ করে কয়েক বার হ্যালো হ্যালো বলে কেটে দেন।
বাইসাইকেল মালিক নুরের বন্ধ তরুণ বলেন, সাইকেলটি মূলত নিয়ে এসেছিলাম একটি কাজে। যে যুবককে মারধর করা হয়েছে তিনি সাইকেল চুরি করেননি। সাইকেলটি আমি না বলে নিয়ে আসার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।
সংশ্লিট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মেহেদি হাসান বলেন, সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পরেই খবর পাই শিমুলতলা প্রথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একজনকে মারধর করা হচ্ছে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে আহত মানিক আলীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করাই। তবে মানিক আলী সাইকেল চুরি করেননি। সাইকেলের মালিক নুরের বন্ধুই না বলে সেটি নিয়ে গিয়েছিলেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মাহবুবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবো।