শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:০৬ অপরাহ্ন

এসএওসিএল বিজ্ঞপ্তি-পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগ, পদোন্নতিও পাচ্ছেন সেই ১৪ কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোনো কিছুতেই অনিয়ম পিছু ছাড়ছে না রাষ্ট্রীয় অংশীদারি প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডে (এসএওসিএল)। নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে বাণিজ্যিক অডিটে আপত্তি ওঠা ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুই বছরেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কোনো প্রকার নিয়ম না মেনে এই কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। যাদের অনেকের বিরুদ্ধে নিয়োগকালীন স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া, ত্রিশোর্ধ্ব বয়সীদের কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ এবং চাকরিচ্যুত হওয়ার কয়েক বছর পর নিয়মবহির্ভূতভাবে পুনর্নিয়োগের অভিযোগও রয়েছে অডিট আপত্তিতে। অভিযোগ উঠেছে, নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) ঊর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তিদের অবহেলা ও যোগসাজশে এখনো বহাল তবিয়তে অনিয়মে নিয়োগ পাওয়া ওই ১৪ কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিপিসি পরিচালক (অর্থ) ও এসএওসিএলের পরিচালক কাজী মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক  বলেন, আলাদা আলাদা বিষয় খেয়াল রাখা আমাদের পক্ষে দুরূহ। বোর্ড মিটিংয়ে যে বিষয়গুলো আলোচনা হয় আমরা সেগুলো সম্পর্কে জানতে পারি। পরে ছোট ছোট বিষয় পৃথক মনিটরিং আমাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য। তবে আগামী বোর্ড মিটিংয়ে নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে অডিট আপত্তির বিষয়টি তুলে ধরতে বলা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হটলাইনে আসা এক অভিযোগের সূত্র ধরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রায় সাতটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখায় অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মঈনুদ্দিন আহমেদ ও তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মোহাম্মদ শাহেদের বিরুদ্ধে ৫৭ কোটি টাকা অবৈধভাবে স্থানান্তরের তথ্য পায়। এ ঘটনায় ওই বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি এসএওসিএলের ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের আয়-ব্যয় ও অডিটসহ সার্বিক আর্থিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিপিসি।

পরে তদন্ত কমিটি এসএওসিএলের অসহযোগিতার অভিযোগ এনে বিপিসিতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। ২০১২-১৩ ও ২০১৩-১৪ অর্থবছরের শুধু নমুনাভিত্তিক কিছু আর্থিক কার্যক্রমের অনুসন্ধান করে প্রায় তিনশো কোটি টাকার অনিয়মের সত্যতা পায় কমিটি। পরে তদন্ত প্রতিবেদনটি দুদকে পাঠায় বিপিসি। ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট করোনা উপসর্গ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির জিএম মোহাম্মদ শাহেদ মারা যান।

পরে বিপিসির দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালিয়েও অভিযোগের সত্যতা পায় দুদক। ২০২১ সালের ৯ মার্চ প্রায় ৮১ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মঈনুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করে কমিশন। তবে করোনাকালীন মারা যাওয়ায় মোহাম্মদ শাহেদকে মামলায় আসামি করা হয়নি।

অভিযোগ আছে, তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক শাহেদসহ প্রতিষ্ঠানটির দুর্নীতিগ্রস্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রভাবে ২০১২ সালের পর থেকে প্রায় সাত বছর নিরীক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারেনি সরকারি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অডিট অধিদপ্তর। তবে শাহেদের মৃত্যুর পর এসএসওসিএলের ২০১৩-১৪ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরের অংশবিশেষের ওপর নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে নিরীক্ষা কাজ শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেন নিরীক্ষা দলের প্রধান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের প্রধান হিসাবরক্ষণ ও অর্থ কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র সাহা। বাণিজ্যিক ওই অডিটে কোনো ধরনের বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ইচ্ছামতো সরাসরি আবেদনের মাধ্যমে ১৪ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়ার গুরুতর অনিয়ম উত্থাপন করা হয়।

অভিযোগ ওঠা কর্মকর্তারা হলেন সিনিয়র অফিসার (মেইনটেনেন্স) মো. শহিদুল ইসলাম, জুনিয়র অফিসার (টেকনিক্যাল) দুর্জয় দে, অফিসার (হিসাব) মো. ফখরুল ইসলাম, টেকনিক্যাল অফিসার মো. আনোয়ার জাহিদ, সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রকৌশল) প্রলয় চক্রবর্তী, জুনিয়র সেলস অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন, উপ-ব্যবস্থাপক (প্রকৌ ও অপা.) মো. মোকাররম হোসেন, উপ-ব্যবস্থাপক (হিসাব) মো. মাহমুদুল হক, জুনিয়র অফিসার (অপারেশন) মো. শামীম সহিদ, টেকনিক্যাল অফিসার মো. আনিসুর রহমান, অফিসার (এইচআর) আবদুল্লাহ আল মামুন, অফিসার (সেলস) মীর হোসেন, ম্যানেজার (প্রোডা. ও অপা.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান ও অফিস সহকারী মো. আশরাফ উদ্দিন।

অডিট আপত্তিতে উল্লেখ করা হয়, সিনিয়র অফিসার (মেইনটেনেন্স) শহিদুল ইসলামকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হয়। তার কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। নিয়োগের সময় তার বয়স ছিল ৩০ বছরের বেশি। এক্ষেত্রে অস্থায়ী নিয়োগের শর্তভঙ্গ করা হয়েছে বলে আপত্তিতে উল্লেখ করা হয়।

জুনিয়র অফিসার (টেকনিক্যাল) দুর্জয় দে কে আবেদনের তারিখের আগেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাকে একাধিকবার ক্যাজুয়াল নিয়োগ দেওয়া হয় বলে প্রমাণ পান অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষকরা। অফিসার (হিসাব) ফখরুল ইসলাম ভুইয়াকে স্থায়ী করার ক্ষেত্রে ৮৯ দিনের শর্ত ভঙ্গ করা হয়েছে। অভিজ্ঞতা ছাড়াই তাকে প্রজেক্টে নিয়োগ করা হয়। তিনি তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক শাহেদের জেলা ফেনীর বাসিন্দা এবং তার চাচাতো বোনের জামাই, নিরীক্ষকরা মৌখিকভাবে এমনটিই জেনেছেন বলে আপত্তিতে উল্লেখ করা হয়।

টেকনিক্যাল অফিসার আনোয়ার জাহিদকে শুধু আবেদনের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। এছাড়া কমিটির সুপারিশ ছাড়া কেবল আবেদনের ভিত্তিতে ম্যানেজারের সুপারিশে পদোন্নতিও দেওয়া হয়। পাশাপাশি মেডিকেল রিপোর্টে কোলেস্টেরল, এলডিএল, এইচডিএল ও টিজি রেফারেন্স ভ্যালু অপেক্ষা কম-বেশি ছিল বলে অডিট আপত্তিতে উঠে আসে।

সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রকৌশল) প্রলয় চক্রবর্তীকেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শুধু আবেদনের ভিত্তিতে। তাকে অফিসের কাজের বাইরে কনসালটেন্সি করার অনুমতি দেওয়া হয়। তারও মেডিকেল রিপোর্টে কোলেস্টেরল, এলডিএল, এইচডিএল ও টিজি রেফারেন্স ভ্যালুর চেয়ে কম-বেশি ছিল। এছাড়া তিনি আগে যে অফিসে চাকরি করতেন, সে প্রতিষ্ঠানকে কোম্পানির নির্মাণকাজ পাইয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছেন বলে আপত্তিতে উল্লেখ করা হয়। একইভাবে মেডিকেল রিপোর্টে কোলেস্টেরল, এলডিএল, এইচডিএল ও টিজি রেফারেন্স ভ্যালুর চেয়ে কম থাকার পরও জুনিয়র সেলস অফিসার শাহাদাত হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয় বলে আপত্তিতে বলা হয়।

অন্যদিকে মোকাররম হোসেনকে আবেদনের ভিত্তিতে কোনো ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি উপ-ব্যবস্থাপক (প্রকৌ. ও অপা.) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। মোকাররম প্রয়াত মহাব্যবস্থাপক শাহেদের ভাগনে বলে আপত্তিতে জানানো হয়। একই কায়দায় নিয়োগ পান উপ-ব্যবস্থাপক (হিসাব) মো. মাহমুদুল হকও। তার নিয়োগেও ছিল না পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট। চাকরি স্থায়ীকরণের এক বছর পর পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য অনুরোধপত্র পাঠানো হয়েছে। পদোন্নতি কমিটি গঠন ছাড়াই সিনিয়র অফিসার থেকে সহকারী ব্যবস্থাপক ও উপ-ব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। বিধিতে চার বছর পর পদোন্নতি দেওয়ার বিধান থাকলেও দুই বছরেই এসব পদোন্নতি দেওয়া হয় বলে আপত্তিতে উল্লেখ করা হয়।

জুনিয়র অফিসার অপারেশন শামীম সহিদকে বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষা ছাড়া নিয়োগ দেওয়া হয়। বারবার অসদাচরণ করা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ২০১৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন গায়েব করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে অডিট আপত্তিতে।

টেকনিক্যাল অফিসার আনিসুর রহমানকে একই কায়দায় সরাসরি এম-৭ গ্রেডে নিয়োগ দেওয়া হয়। অফিসার (এইচআর) আবদুল্লাহ আল মামুনকে পূর্বঅভিজ্ঞতা এবং পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি এম-৭ গ্রেডে নিয়োগ দেওয়া হয়। অফিসার (সেলস) মীর হোসেনও নিয়োগ পান সরাসরি। তিনি মহাব্যবস্থাপক শাহেদের শ্যালক হিসেবে জনশ্রুতি আছে বলে আপত্তিতে উল্লেখ করা হয়।

অফিস সহকারী আশরাফ উদ্দীনকেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে পরীক্ষা ছাড়া। তাকে অপারেটর পদ থেকে অফিস সহকারী পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। তিনি মহাব্যবস্থাপক শাহেদের চাচাতো ভাই বলে অডিট আপত্তিতে উল্লেখ করা হয়।

সবচেয়ে বড় অনিয়ম হয়েছে ম্যানেজার (প্রোডাকশন অ্যান্ড অপারেশন) মো. সিদ্দিকুর রহমানের নিয়োগে। শুধু আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি উপ-ব্যবস্থাপক হিসেবে এম-৪ গ্রেডে নিয়োগ দেওয়া হয় তাকে। ২০০৪ সালেও তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে চাকরি করেছিলেন। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। তাকে আবারও আবেদনের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয় বলে আপত্তিতে উল্লেখ করা হয়। তিনি প্রথমে ২০০৩ সালে এসএওসিএলে যোগ দেন। পরে মন্ত্রণালয়ের তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০০৪ সালে চাকরিচ্যুত হন। ২০১৫ সালে আবারও সরাসরি নিয়োগ পান। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কোম্পানি সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন সিদ্দিকুর!

নিয়োগে অনিয়মের পাশাপাশি কর্মকালীন সময়েও নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েন এসব কর্মকর্তা। অনুমোদনহীনভাবে ৫০ কোটি টাকার এফডিআর ভাঙিয়ে ৯৪ লাখ টাকা তছরুপ, বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই এসএসসি পাস না করা লোককে সিনিয়র অফিসার হিসেবে নিয়োগ, এসএওসিএলের টাকায় আমদানি করা দুটি লিফট সাবেক কর্মকর্তার পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে স্থাপন, মেশিন আমদানির নামে বিদেশ সফর, অনুমোদনহীন গাড়ি ব্যবহার করে অর্থ অপচয়সহ নানা অভিযোগ রয়েছে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক মো. শাহেদ মারা যাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটিতে আর্থিক শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রথমে বিপিসির পরিচালক (অর্থ) শহীদুল আলমকে প্রধান নির্বাহী করা হলেও পরে বিপিসির উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মোরশেদ হোসাইন আজাদকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব দেন বিপিসি চেয়ারম্যান। এরপর থেকে নানা অনিয়ম বন্ধের পাশাপাশি লোকসানি বিভিন্ন কার্যক্রম বন্ধেরও পদক্ষেপ নিতে শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে মোরশেদ হোসাইন আজাদকে সরিয়ে বিপিসির মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) মণি লাল দাশকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। নানা মহলের প্রভাবে বর্তমানে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া থেকে বিরত প্রতিষ্ঠানটি।

অডিট আপত্তির দুই বছরেও অনিয়মে নিয়োগ নেওয়া ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়ে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবীর চৌধুরী  বলেন, আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থা এমন পর্যায়ে যেখানে দুর্নীতি-অনিয়ম করলে তাকে পুরস্কৃত করা হয়। যারা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চান তাদের জোটে তিরস্কার। এক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। সরকারের অংশীদারি প্রতিষ্ঠানে সরকারি অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি না করা এবং অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ-পদোন্নতি পাওয়া লোকদের ভালো জায়গায় পদায়ন করার বিষয়টি নিন্দনীয়।

কোনো প্রকার বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগ-পদোন্নতি দেওয়া নিয়ে আপত্তি উঠলেও বিষয়টি নিয়ে উল্টো সরকারি অডিট অধিদপ্তরকেই দোষারোপ করেন এসএওসিএলের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক বিপিসির মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) মণি লাল দাশ।

তিনি  বলেন, ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ১০৫ জনের নিয়োগ হয়েছে নিয়ম না মেনে। তখন অনিয়মটাই ছিল নিয়ম। ফলে আপত্তি উঠলে ১০৫ জনের বিরুদ্ধেই উঠবে। শুধু ১৪ জনের বিরুদ্ধে কেন, এটা বোধগম্য নয়। আমি মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানিয়েছি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335